কলকাতা: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক নির্দেশ জারি করে জানানো হয়েছে যে, বাইক আরোহীরা যে কোনও হেলমেট ব্যবহার করতে পারবে না। হেলমেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিআইএস এবং আইএসআই ট্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক। আর এবার বাইক আরোহীদের জন্য এক কড়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। অনেকেই বাইক চালায়, কিন্তু নিজেকে নিয়ে সচেতন নয়। সাধারণ মানুষ কতটা অসচেতন, তার প্রমাণ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে। আর তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে কড়া পদক্ষেপ আজ, শনিবার থেকে গ্রহণ করল কলকাতা পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল ভরতে গেলে সেক্ষেত্রে বাইক আরোহীকে পেট্রোল দেওয়া হবে না। অর্থাৎ ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। আজ থেকে এই কড়া নির্দেশ শহরের প্রত্যেকটি পেট্রল পাম্পগুলিকে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬০ দিন সক্রিয়ভাবে এই নির্দেশ পালন করতে হবে সকলকে। যে বা যারা এই নির্দেশ পালন করবে না, তাদেরকে কোনও পেট্রোল পাম্প থেকেই জ্বালানি বিক্রি করা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ অসচেতন হয়ে হেলমেট ছাড়া বাইক চালাচ্ছে। তাই দু চাকা চালকদের জন্য এই কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেছেন, ‘দেখা গিয়েছে, হেলমেট ছাড়াই মোটরবাইক চালকেরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। এমনকি যিনি পিছনে বসে রয়েছেন, তার মাথাতেও হেলমেট নেই। এর পাশাপাশি আইনবিধি মেনে না চলার ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই আমাদের এই পদক্ষেপ।’
তবে এই আইন অমান্য করলে শুধুমাত্র বাইক আরোহীরাই শাস্তির আওতায় পড়বে না। শাস্তি বা আইনের আওতায় পড়বে পেট্রল পাম্পগুলিও। বলা হয়েছে, কলকাতার পেট্রোল পাম্পগুলি বিনা হেলমেটে কোনও মোটরবাইক চালককে জ্বালানি বিক্রি করবে না। যদি চালক হেলমেট পরেও থাকেন, কিন্তু পিছনের সিটে বসা ব্যক্তির মাথায় হেলমেট না থাকে তাহলেও পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। এই আদেশ যদি কোনও পেট্রোল পাম্প অমান্য করে, তাহলে তাকে মোটর ভেহিক্যাল আইনের আওতায় ফেলা হবে। সুতরাং, সব মিলিয়ে বাইক আরোহীদের সচেতন করার জন্য কড়া হাতে হাল ধরতে চলেছে কলকাতা পুলিশ, এমনটা বলাই যায়।