নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সব সময় সবার থেকে এগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে রাশিয়া। পরবর্তী ক্ষেত্রে ফ্রান্স এবং ইজরায়েলকেও ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে রাশিয়ার একচেটিয়া ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বোইং নির্মিত অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হোক বা এম ৭৭৭ কামান, সিগ রাইফেল হোক বা এফ ফিফটিন এক্স নিয়ে আলোচনা, রাশিয়ার একচেটিয়া বাজারে এখন ভাগ বসিয়েছে মার্কিনিরা। এই তালিকায় রাখতে হবে চিনুক হেলিকপ্টারকেও।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অ্যাডভান্সড মেরিটাইম হেলিকপ্টার এম এইচ ৬০ রোমিওর ছবি প্রকাশ করল লকহিড মার্টিন। মোট ২৪ টি হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। পরের বছরের শুরুর দিকেই নৌবাহিনীর কাছে এই হেলিকপ্টারের সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। যেভাবে লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের পাশাপাশি আরব সাগরের তীরে চিনা নৌসেনারা আক্রমণ হানার চেষ্টা করছে, তাতে এই হেলিকপ্টার জোরালোভাবে ভারতীয় নৌসেনার শক্তিকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি শুধু আক্রমণ নয়, রোমিও উদ্ধারকার্য করতেও সক্ষম।
This #NavyDay, we are proud to share the first look of the #IndianNavy’s #MH60R in all its glory. #RomeoForIndia 🇮🇳#NavyDay2020 pic.twitter.com/vZoOgFq4DH
— Lockheed Martin India (@LMIndiaNews) December 4, 2020
জানা গিয়েছে, সমুদ্রে সাইলেন্ট কিলার নামে পরিচিত এই হেলিকপ্টার। জলের নীচে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন হোক বা শত্রুপক্ষের জাহাজ, রোমিওর আক্রমণ থেকে নিস্তার নেই কারও। ৭:২ ব্যারেল গান ছাড়াও অত্যাধুনিক হেলফায়ার এবং ৫৪ টর্পেডো মিসাইল লোড করা যায় এই কপ্টারে। একসঙ্গে তিনটি টার্গেট এনগেজ করার ক্ষমতা রয়েছে। অত্যাধুনিক ককপিট, আটটি সেন্সর এবং আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম থাকায় আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি শত্রুপক্ষের রাডারকেও ফাঁকি দিতে সিদ্ধহস্ত এই মার্কিন হেলিকপ্টার। সুতরাং, সব মিলিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের নৌবাহিনীর লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই হেলিকপ্টার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই আশাবাদী ভারতীয় নৌবাহিনী।