করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সারা বছর ধরে চলেছে অনলাইনের মাধ্যমে পঠন পাঠন। তবে পরবর্তী বছরে কি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যাবে সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগে জল্পনা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে চলতি বছরে স্কুল কলেজ খুলবে না এবং মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য হবে না কোন টেস্ট পরীক্ষা। কিন্তু পরবর্তী বছরে অবশ্যই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। তবে এবার মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক এর নিচে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের পরীক্ষার হবে কি হবে না তা জানিয়ে দিলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনেকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির না সামলে ওঠা অব্দি স্কুল ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ক্লাস হবে। এখন স্কুল খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরে বিনা পরীক্ষাতেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর পড়ুয়ারা পাস করে যাবে। অর্থাৎ সামনের বছর শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণী অব্দি সমস্ত ছাত্র উর্ত্তীন্ন হবে বিনা পরীক্ষায়।
আজ অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যার দিকে সরকার এবং সরকারের সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোন রকম পরীক্ষা হবে না। পরীক্ষা ছাড়াই তাদের পরবর্তী শ্রেণীতে তুলে দেওয়া হবে। তবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের স্বার্থে স্কুল খুললে আগে শ্রেণির পাঠ্যক্রম পরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে অনলাইনে পড়াশোনা করানোর জন্য রাজ্য সরকার ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা খুবই সমস্যায় পড়েছে। তারা ঠিকমতো অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। রাজ্য সরকার সব সময় রাজ্যের ভবিষ্যৎ স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তাই এবার অনলাইন ক্লাস ঠিকমতো করার জন্য বিনামূল্যে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হবে।”