নিউজপলিটিক্সরাজ্য

নাম না করে দু’পয়সার প্রেস মন্তব্যের জন্য মহুয়াকে কটাক্ষ মমতার

Advertisement

দু’পয়সার প্রেস বলে এদিন সংবাদ মাধ্যমকে অপমান করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তারপর এই মহুয়ার এই মন্তব্যের পরবর্তীতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সমস্ত মহলে। আবার তার বিরুদ্ধে উঠেছে ক্ষমা না চেয়ে টুইট করে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ নুসরাত জাহান কেউ তাকে সমর্থন করেননি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন,” ওটা ওর ব্যক্তিগত মন্তব্য দলের মন্তব্য নয়।” নুসরাত জাহান বলেছেন,” ওর ওই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি অন্যতম বড় স্তম্ভ। কাউকে ছোট করা উচিত নয়।” এরপরে এবার এক জনসভা থেকে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা উজাড় করতে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বললেন,”প্রেস এবং মিডিয়ার একটা ইজ্জত আছে। যেটা সত্য সেটা বলবেন। প্রেস এবং মিডিয়া আমাকে অনেক সাহায্য করে থাকে। কার কোথায় কি প্রয়োজন তা সব সময় তুলে ধরে সংবাদমাধ্যম। সেসব আমরা ডিএম এবং এসপিদের বলি।”এভাবেই তিনি নাম না করে মহুয়া মৈত্রের ওই মন্তব্য কে সমর্থন না করার কথা জানিয়ে দিলেন।

উল্লেখযোগ্য, রবিবার গয়েশপুরে একটি কর্মী সম্মেলনে মির্জা ছাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন,”কে এই দুই পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? সরাও প্রেস এখান থেকে। কেনো দলের মিটিংয়ে তোমরা প্রেসকে ডাকো? কর্মী বৈঠকে সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি দলের সভানেত্রী, আমি আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি প্রেসকে সরান।”

আর এই মন্তব্যের পরেই তিনি দলের কর্মীদের বলেন, আপনারা মোবাইল সরিয়ে রাখুন। এটা মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার জায়গা না।” সেই সময়ে একজন সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে ভিডিও করতেও বাধা দেন তিনি। মহুয়া মৈত্র তাকে প্রশ্ন করেন,”এখানে প্রেসের ঢোকার কোন অনুমতি নেই। আপনাকে এখানে কেউ ঢুকতে দিলো?”

তারপর দু’পয়সার প্রেস মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়া মৈত্র বলেন,”আমি তো আপনাদের রেকর্ড করতে বলিনি। আপনারা এখন সেটা রেকর্ড করেছেন তাই বলতে হচ্ছে।” যদিও তিনি টুইটে ব্যঙ্গ করে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই টুইটারে তিনি একটি মিম শেয়ার করে লিখেছেন, আমার মিম এডিট করার দক্ষতা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও ওই মিমে লেখা,”আমার বেদনাদায়ক সঠিক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।”

Related Articles

Back to top button