মানবাধিকার দিবসের দিন মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইদিন টুইট করে লেখেন”রাজ্য সরকার মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট। এখন গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মৌলিক অধিকার খণ্ডন করা হচ্ছে। মানুষের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।” আসলে দেশজুড়ে চলছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে সরব মমতা। কৃষকদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তা অমানবিক। এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
Today is #HumanRightsDay. Nowadays, there is a big trend to bulldoze democracy, crush fundamental rights, and muzzle the voice of the people. Our government is committed to upholding #humanrights 1/2
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 10, 2020
অন্যদিকে দুইদিনের বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তৃণমূল নেত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরে জনসংযোগ তৈরি করছেন তিনি। কিন্তু তারা বাংলাকে বঞ্চিত করছেন বলেন বহুবার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিশ্ব মানবিকতা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন,”গত সাড়ে ৯ বছরে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ১৯ টি মানবাধিকার আদালত। মানবাধিকার রক্ষায় একাধিক ভাবে একাধিকবার প্রতিবাদ করেছি আমি। যার রায়ে তৈরি হয়েছে মানবাধিকার কমিশন।” এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী টুইটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি কতটা মানবদরদি।
কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েও এইদিন টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,”করোনা মহামারীর এই অবস্থাতে মানুষ আর্থিক ভাবে অকল্পনীয় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কেন্দ্র প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক কে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করুক। সাহায্য করা হোক সেই সব মানুষকে যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত। এই ক্ষেত্রে পিএম কেয়ার ফান্ডকে ব্যবহার করা হোক।” অন্যদিকে কিছুদিন আগে মেদিনীপুরের সভা থেকে পিএম কেয়ার্সের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইবার সেই অর্থ মানুষের কাজে খরচের বার্তা দিলেন তিনি। তবে এর দ্বারা তিনি পিএম কেয়ার্সের বিষয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ প্রদান করছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।