বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এইবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।রাজ্যপাল জগদীপ ধণখড়ের কাছ থেকে এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য হামলার ঘটনায় টুইটারে টুইট করেছে শাহ। এইদিন তিনি লিখেছেন,”আজ বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তা খুবই বর্বরোচিত এবং নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার হতে এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব নিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলার সরকারকে এই ধরণের হিংসার জন্য রাজ্যের সকল শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে জবাব দিতে হবে। তৃণমূল রাজত্বে বাংলায় অত্যাচার এবং অরাজগতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। তৃণমূল শাসনে বাংলার অন্দরে যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা চরমে পৌঁছেছে তা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিশ্বাসী সকল মানুষের কাছে খুবই উদ্বেগজনক।”
উল্লেখ্য, এইদিন ডায়মন্ডহারবারের সুলতানপুরে আজ সাংগঠনিক সভা করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। অন্যদিকে এইদিন যাত্রাপথে শিরাকোলে সভা চলছিল বাংলার শাসক শিবিরের অর্থাৎ তৃণমূলের। অভিযোগ উঠেছে, নড্ডার কনভয় শিরাকোল মোড়ে পৌঁছাতেই তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা এবং সমর্থকেরা। আটকে দেয়া হয়েছে বিজেপি সভাপতি নড্ডার গাড়ি। কেবল তার গাড়িই নয়। আটকে দেওয়া হয়েছে মুকুল রায় , কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অনুপম হাজরার গাড়িও।
বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় তার গাড়ি। তারপর জেপি নড্ডার গাড়ি ছাড়া হয়েছে পুলিশের মধ্যস্থতায়। অন্যদিকে নড্ডার গাড়ি বেরিয়ে যেতেই আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে অবস্থা। বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। অভিযোগ, শাসক শিবিরের কর্মীরা হামলা করেছে কনভয়ের বাকি গাড়ি গুলির ওপরে। বিজেপি সূত্র থেকে অভিযোগ, খুবই কম পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে। ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনেই।
অন্যদিকে এই বিষয়কে নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে টুইটের মাধ্যমে এইদিন ধনখড় লেখেন,” এই ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশের আচরণ অনেকটা রাজনৈতিক পুলিশের মতো হয়ে গিয়েছে। তাদের সামনেই আজ হামলা হয়েছে বিজেপি সভাপতির ওপরে।” অন্যদিকে ‘নড্ডার কনভয়ে হয়নি কোনও হামলা’ এমনটা টুইটে দাবি করেছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।