নিউজপলিটিক্সরাজ্য

নড্ডার কনভয়তে হামলা নিয়ে মুখ্যসচিব এবং ডিজি দুজনেই চুপ, এটা রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার চিহ্ন: ধনকর

Advertisement

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যা অবস্থা সেই নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে এবারে মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে এবারে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদিপ ধনকর। মঙ্গলবার টুইট করে তিনি ৩ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন অর্থাৎ বলা হয়েছিল যাতে তারা ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এই দিনের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে রাজভবনে দেখা করার কথা ছিল তাদের। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে সময়ের আগেই রাজভবনে যাচ্ছেন তারা। এদিন সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ রাজভবনে দেখা করতে যাবেন তারা। রাজ্যপাল আশা প্রকাশ করেছেন, উভয়ের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হবে।

আগেও বেশ কয়েকবার প্রশাসন এবং পুলিশের বড়কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ডেকে তলব করেছিলেন। কিন্তু বারবার তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তার ডেকে পাঠানো বারবার উপেক্ষা করেছেন রাজ্যপাল। তবে এইবারে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয় হামলা নিয়ে মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি কে প্রশ্ন করেন রাজ্যপাল। কিন্তু জানা গিয়েছে, তারা এই নিয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি। এর পরেই টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, এই ধরনের মৌনতা রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার চিহ্ন।

বৃহস্পতিবার জেপি নড্ডার কনভয়তে হামলা হওয়ার পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সন্ধ্যে ৬ টা নাগাদ তারা রাজভবনে গিয়ে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সাক্ষাৎ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর সেই সাক্ষাতের একটি ভিডিও এবং ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আমার সাথে সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ দেখা করেন। তবে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার গাড়িতে হামলা নিয়ে কেউ আমাকে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। দু’জনকেই মৌন থাকতে দেখা গিয়েছে। এটা রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার প্রত্যক্ষ চিহ্ন।

প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যপাল টুইটারে জানিয়েছিলেন, তিনি ডায়মন্ড হারবারে জেপি নড্ডার সফর নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছেন। এই কারণে বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের জবাবে মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে বলেন,”আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।” কিন্তু তার পরেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কে হামলার মুখোমুখি হতে হয়। এদিনেই হামলা নিয়ে বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল।

Related Articles

Back to top button