বলিউডের স্টারকিড তৈমুরের প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে পাপারাৎজি। কিন্তু সেটা যে আদৌ তার পরিবার পছন্দ করে না, এবার একটি সাক্ষাৎকারে তা বললেন তৈমুরের ঠাকুমা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। শর্মিলা বলেন, পাপারাৎজি ক্রমশ তৈমুরকে সেলিব্রিটি করে তুলছে। শিশু তৈমুর অযাচিত গুরুত্ব পেতে পেতে একসময় এটাই তার অভ্যাস হয়ে যাবে। কিন্তু তৈমুরের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও বদলাবে। সেই সময় তৈমুরের বদলে হয়তো অন্য কেউ গুরুত্ব পাবে। তৈমুরের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই নিয়ে শর্মিলা চিন্তিত হলেও মিডিয়ার কাছে তৈমুরের প্রতি একটু সহানুভূতি চাওয়া ছাড়া তাঁদের আর কিছু করণীয় নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি শর্মিলা বলেন মিডিয়ার দৌলতেই বিশ্বের কাছে একজন তারকা পরিচিতি পান। এই কারণে মিডিয়াকে এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
প্রকৃত পক্ষে তৈমুর আলি খানের পরিচয়ের রাজকীয়তা তাকে আরও বিড়ম্বনার সম্মুখীন করে তুলেছে। মা করিনার দিক থেকে তৈমুরের শরীরে বইছে বলিউডের ফার্স্ট ফ্যামিলি কপূরদের রক্ত। বাবা সইফ আলি খান-এর দিক থেকে তৈমুর গোয়ালিয়রের রাজপরিবার পতৌদি বংশের রাজপুত্র। কিন্তু আদতে সে একটি শিশু। অন্য যেকোনো শিশুর মতোই তৈমুর এক সুস্থ শৈশবের অধিকারী, পাবলিসিটির মোহে এই কথা প্রায় ভুলতে বসেছেন পাপারাৎজির দল। তৈমুরের ঠাকুমা সহ সমগ্র পরিবার তৈমুরকে তার প্রাপ্য শৈশব উপহার দিতে চান।
কিন্তু শর্মিলা কন্যা সোহা আলি খান ও তাঁর স্বামী কুণাল খেমুর সন্তান অথবা সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং-এর সন্তান সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান কখনও পাপারাৎজির স্পটলাইট-এ আসেননি। সারা অভিনেত্রী হওয়ার পর তিনি পাপারাৎজির ‘আই ক্যান্ডি’ হয়ে উঠেছেন। তাঁর ভাই ইব্রাহিমও খুব তাড়াতাড়ি বলিউডে অভিনেতা হিসাবে ডেবিউ করতে চলেছেন।