Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

যত শীঘ্রই সম্ভব ক্ষমা চাইতে হবে, ফিরহাদকে আইনি নোটিশ ধরিয়ে হুঁশিয়ারি বৈশাখীর

কিছুদিন আগে কলেজ থেকে ইস্তফা দিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়ে আরো একবার বিতর্কে জড়ালেন শোভনের পরম বন্ধু বৈশাখী। তার…

Avatar

কিছুদিন আগে কলেজ থেকে ইস্তফা দিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়ে আরো একবার বিতর্কে জড়ালেন শোভনের পরম বন্ধু বৈশাখী। তার সম্পর্কে ফিরহাদ এর যে মন্তব্য তা তিনি অপমানজনক বলে মনে করেছেন। ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম কে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন বৈশাখী ব্যানার্জি। তার যুক্তি ছিল, মহিলা সম্পর্কে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত অপমানজনক। তাই অবিলম্বে তাকে বৈশাখী ব্যানার্জির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

নতুবা, বৈশাখী ব্যানার্জি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে মন্তব্য করেছেন। তবে শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিম নয়, আমির উদ্দিন ববি কেও আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিশ একটি সময়সীমা উল্লেখ করা রয়েছে। বৈশাখী বলেছেন,’সম্মান নিয়ে বাঁচাটা সকলের মৌলিক অধিকার। আমার সম্মানটা নষ্ট হয়েছে। উনি যে কথা বলেছেন তা ভাইরাল হয়েছে। কথাটা শুধু আর কলেজের চৌহদ্দিতে আটকে নেই। আমার মর্যাদাটা নষ্ট করা হয়েছে।’

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

ইস্তফা প্রসঙ্গে বৈশাখী ব্যানার্জি বলেছেন,”রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আমাকে উৎখাত করার কথা বলেছিলেন। তারপরেই আমাকে মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। শিক্ষক জীবনে সম্মান টাই আসল। আমাকে যেরকম ভাবে অপমান করা হয়েছে তারপর আর ছাত্রীদের সামনে দাঁড়ানো যায় না। এই কারণেই নিজের সম্মান রক্ষার জন্য আমি শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছি।” পাশাপাশি তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, আমার যে আরও ২২ বছর চাকরি ছিল, সেই বকেয়া টাকা তিনি নাও দিতে পারেন।

প্রসঙ্গত, মিল্লি আল আমিন কলেজে নানা দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে গিয়ে পুরমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশাখী কে সমূলে উৎপাটিত করো। তারপরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী ব্যানার্জি দুজনে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সাথে বৈঠক অবধি করেছেন। সেই বৈঠকে তিনি ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন। তারপরেই শিক্ষা দপ্তর থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করে মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে তাকে রামমোহন কলেজের ট্রান্সফার করা হয়। এই পদক্ষেপের পর চরম অপমানিত হয়ে চাকরি ছাড়ার ঘোষণা করেন বৈশাখী। তবে এখনো পর্যন্ত তার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

About Author