আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু মাঝে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন পড়ে যাওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা আশঙ্কা করছেন ভোটের পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই তারা আবারো আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তারা নতুন বছরের মার্চ মাসের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট আপার প্রাইমারি তথা উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিল পরীক্ষার্থীরা। তারপর পরীক্ষার্থীদের একাংশ সমস্যা নিরাময়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারপর শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের কথা শুনল আদালত। প্রায় আড়াই হাজার পরীক্ষার্থীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। চূড়ান্ত রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। আবার সব নতুন করে শুরু করতে হবে।
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন যে সমস্ত প্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। পুরনো শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। যেই প্যানেল নিয়োগ কাজে নিযুক্ত ছিল তাদেরও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে নতুন করে সব প্রক্রিয়া আবার চালু হবে। তারপর ৫ এপ্রিলের মধ্যে ডকুমেন্ট চেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তারপর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত নিযুক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই একাধিক প্রার্থী সংগঠন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে আগামী বছর মার্চ মাসে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন পদপ্রার্থীদের তথ্য যাচাই, ইন্টারভিউ বা নিয়োগের কাজে অসুবিধা হতে পারে। তাই তারা দাবি জানিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণভাবে মার্চ মাসের আগেই ভোটের আগে সম্পন্ন করতে হবে। দ্রুত নিয়োগ যাতে হয় সেইজন্য তারা আবার রাস্তায় নামবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু তারা রাস্তায় নামলে আদেও কাজ হবে নাকি তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মোট উচ্চ প্রাথমিক শূন্যপদের সংখ্যা ১৪৩৩৯ টি। নির্ধারিত ১:৪ অনুপাত এর কারণে প্রায় ২০০০০ এর বেশি প্রার্থী ইন্টারভিউ নিতে হবে। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে কমিশন অফিসে এত প্রার্থীর ইন্টারভিউ কি করে নেয়া যাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়াও অনলাইন ইন্টারভিউ নেয়া হলে তা খুব একটা বাস্তব সম্মত হবে না বলেই জানিয়েছে প্রার্থীরা। কারণ ইন্টারনেট পরিষেবা সবার কাছে সমান নেই।