আবারও একবার রাজ্যের শাসক শিবিরের দিক কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলতে দেখা গেল রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বুধবার মধ্য কলকাতার বহুবাজারে ‘চায় পে চর্চা’ আসরে ছিলেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেখানেই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন দিলীপ বাবু। সাথে কটাক্ষ করেন রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে দুয়ারে সরকারকেও।
এইদিন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,”দিদি বলেছিলেন লন্ডন বানাবেন কলকাতাকে। কিন্তু এখনও অল্প বৃষ্টি তেই কলেজ ষ্ট্রীটে জল জমে প্রায় কোমর সমান। রাস্তাঘাট সব দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টাকা নিচ্ছে আর বড় দোকার সামনে বসিয়ে দিচ্ছে হকার। উন্নয়ন বলতে ছয় মাসের মধ্যে একবার করে ফুটপাতের টালি বদলে দেওয়া হয়। সেই থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি পকেটে নিয়ে যান তৃণমূলের নেতারা।
এখানেই থামেননি দিলীপ বাবু। এইদিন তিনি দাবি করেন,”এতদিন পর মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কথা মনে পড়েছে বাংলার রাজ্য সরকারের। ৯ বছরে কোনও পরিষেবা দিতে পারল না, আর ২ মাস বাকি, তাতে নাকি পরিষেবা দেবে। কি করে দেবে পরিষেবা? আসলে সবই মানুষের ফোন নম্বর জোগাড়ের ফন্দি।” এইদিন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তার বক্তব্য,”প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আসলে মানুষের ফোন নং জোগাড় করছে। তা ভোট প্রচারে কাজে লাগাবে। ভুল করেও যাবেন না দুয়ারে দুয়ারে ক্যাম্পে।”
সম্প্রতি দিলীপ বাবু বলেছিলেন,” প্রতিদিন সকালে দিদির ভাইয়েরা একটা করে বক্তব্য পেশ করেন। আর বেড়ে যায় দিদির বিপি সুগার। ডুবন্ত জাহাজ থেকে ইঁদুর কেন সব কিছুই পালিয়ে যাবে। দিদিমণির টালির বাড়ি থেকে পড়ছে একটা একটা করে টালি। এইদিন মালদার মানিকচকের মথুরাপুরের জনসভায় তৃণমূলকে ভীষণভাবে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার দাবি ২০২১ সালে বিধানসভা ভটে রাজ্যে বিজেপি ২০০ এর বেশি আসন দখল করবে।” তার এই সমস্ত বক্তব্য নতুন করে তৈরি করেছে রাজনৈতিক জল্পনা।