একুশে নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই জনসভাতে তিনি একদিকে যেমন বিরোধীপক্ষের তুলোধোনা করেছেন ঠিক অন্যদিকে উপস্থিত জনতাকে বিধানসভা ভোটের পর কি কি সুবিধা দেওয়া হবে তার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছেন।
দেশজুড়ে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৬ মাসের জন্য লকডাউন চলছিল। লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের বহু মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজ হারিয়ে বেশ সংকটে পড়েছিল। তখন রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু করেছিল। তারপর বর্তমানে করোনা দেশ থেকে বিদায় না হলেও আস্তে আস্তে জনজীবন আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। সবাই তাদের কাজ ফিরে পাচ্ছে। কিন্তু তাও রাজ্য সরকার আগামী বছর ২০২১ এর জুন মাস অব্দি বিনামূল্যে দেবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে তারা জুন মাসের পরেও বিনামূল্যের রেশন দেবে। গোটা বছর রেশনের জন্য কোন খরচ করতে হবে না। এরকম গোটা বছর বিনামূল্যে রেশন এর আগে কখনো দেওয়ার পরিকল্পনা কেউ করেনি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, “গত ছ’মাস ধরে বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি। প্রায় ১০ কোটি মানুষ এখন বিনা পয়সায় রেশন পেয়ে যাচ্ছে। আর কোন রাজ্যে কি এরকম সুবিধা দেবে? বিধানসভা ভোটের পর আমাদের সরকার এলে গোটা বছর বিনামূল্যে রেশন পাবেন।”
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর তার কথাকে বিদ্রুপ করেছে বিরোধীপক্ষ বাম কংগ্রেস ও বিজেপি। তাদের দাবি, “এই প্রতিশ্রুতি প্রতীকায়িত করার সুযোগ পাবেন না মমতাদি। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বামেরা সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা দাবি তুলেছিল আগে। তখন কোথায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলার মানুষ সব বোঝে। বাংলার মানুষ আর তৃণমূলকে সুযোগ দেবে না।” অন্যদিকে মমতার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বাংলায় একেবারে হিট। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার জন্য জেলার প্রত্যেকটি ওয়ার্দে মানুষের ঢল নেমেছে।