নয়াদিল্লি: আমেরিকায় ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলার করার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের তৈরি করা ভ্যাকসিন দিয়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এমনকি এরপরেই মর্ডানার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। অনুমোদন দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি করোনা ভ্যাকসিন দেশের নাগরিকদের জন্য বিতরণ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ দেশে অর্থাৎ ভারতে এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন চালু হয়নি। যদিও বিদেশের বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ দেশেও তৈরি হচ্ছে দুটি ভ্যাকসিন। একটি সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। আর অন্যটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে হায়দরাবাদের এই সংস্থার তরফ থেকে
জানানো হয়েছে যে, কোভিশিল্ড নিজের ফেজ ওয়ান ট্রায়াল শেষ করেছে। এমনকি সফলতাও পেয়েছে। স্বভাবতই এই খবরে আশ্বস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নতুন করে গড়ে উঠবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারত বায়োটেক এই কোভ্যাকসিন তৈরি করছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ট্রায়াল চলাকালীন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যেটি একেবারেই মাইল্ড এবং পরে সেই সমস্যার সমাধানও তারা করতে পেরেছে। এই কোভ্যাকসিন শরীরে অ্যান্টিবডিকে সঠিক মাত্রায় ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে, সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড বেশ ভাল সাফল্য এনে দিচ্ছে। এই সমস্ত তথ্য এটাই জানান দিচ্ছে যে, হয়তো আগামী বছরের শুরুতেই আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো এ দেশেও টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে কাদের কাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতেই যদি ভ্যাকসিন চলে আসে, তবে তার আগে এই কদিনেই সমস্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেল সরকার।