নয়াদিল্লি: ফোন করে বা এসএমএস করে বা ইমেইল করে চাকরির ফাঁদ পাতা নতুন কিছু নয়। এই ঘটনা এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে। আমজনতার কাছে যখন প্রথম ইমেইল বা মেসেজ এসবের ব্যবহার শুরু হয়েছে, তখন এসব চাকরির ফাঁদ অনেকের জীবনে বিপদ ডেকে এনেছিল। তবে এখন মানুষ এই সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়ে যাওয়ায় এই বিপদের পরিমাণ অনেক কমেছে। কিন্তু দেখা দিতে চলেছে এক নতুন বিপদ। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের মাধ্যমে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা বলা হয়, তাহলে সেটা চাকরি নয়, চাকরির ফাঁদ। আর এই ফাঁদে যদি আপনি পা দেন, তাহলে নিজেই ডেকে আনবেন নিজের চরম বিপদ। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে সরাসরি এমন অনেক মেসেজ ইদানিংকালে আসে, যেখানে ওয়াক ফ্রম হোমের অফার দেওয়া হয়। বাড়ি বসে কাজ করার জন্য মেসেজের নিচে একটি সন্দেহজনক লিঙ্ক দেওয়া থাকে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই চাওয়া হয় এটিএম পিন নম্বর। আর আপনি যদি সেটা দিয়ে দেন চাকরি পাওয়ার আশায়, তাহলে চাকরি তো পাবেন না, উল্টে হতে পারেন সর্বহারা। করোনা পরিস্থিতির ফলে দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাব দেশের অধিকাংশ মানুষকে কর্মহীন করে তুলেছে। যার ফলে অনেকেই নতুন করে চাকরির খোঁজ চালাচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কিছু সন্দেহভাজন শ্রেণীর লোকেরা এই ফাঁদ পাতছে, যাতে পা দিলেই আপনার ঘোর বিপদ হতে পারে।
ভারত ও SAARC এর চেক পয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুন্দর এন বালসুব্রমনিয়ম বলেছেন যে প্রতারকরা তাদের লোক ঠকানোর পদ্ধতি প্রতি দিন পাল্টে ফেলে। করোনাকালে এই জাতীয় সাইবার ক্রাইমের ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই জাতীয় সরাসরি বার্তা যেখানে দেওয়া হয় সেখানে একটি লিঙ্ক থাকে। এই লিঙ্ক আসলে একটি নকল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার লিঙ্ক। এখানে ক্লিক করে কোনও তথ্য দিলেই আর্থিক তছরুপের আশঙ্কা থেকে যায়।
আবার যেসব মেসেজে কোনও অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক থাকে না, সেখানে থাকে নকল বা ভুয়ো ওয়েবসাইটের ঠিকানা। সেখানে যে সব তথ্য দেওয়া হয় সেগুলো অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, খুব সাবধানে নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি এইসব মেসেজ ফেসবুক বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে এসে পৌঁছায়, তাহলে সেটি এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়, না হলে আসতে পারে চরম বিপদ।