নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের প্রকাশ করা নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক থেকে হাজার হাজার কৃষক পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতার চলছে কৃষক আন্দোলন। সরকার এবং ভারত কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। ইতিমধ্যেই দিল্লির পারদ নামতে শুরু করেছে। একে করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর রাজধানীর বুকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হল আন্দোলনরত এক কৃষকের। আজ, বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে।
জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে প্রথম থেকেই ছিলেন বছর সাঁইত্রিশের এই কৃষক। যার বাড়িতে তিন সন্তান রয়েছে, যাদের বয়স যথাক্রমে ১০, ১২ এবং ১৪। পরিবারে রোজগেরে বলতে তিনিই একমাত্র ছিলেন। তার মৃত্যুতে আগামী দিনে এই পরিবারের কী পরিনতি হবে, তা ভেবেই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে বাকি আন্দোলনরত কৃষকদের। দিল্লিতে এই মূহুর্তে তাপমাত্রা নেমেছে পাঁচ ডিগ্রির কাছাকাছি। এমন অবস্থাতেও কোনওভাবেই আন্দোলনকারী কৃষকরা নিজেদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে না, এমনটাই কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কোনও কিছুই তাদের আটকাতে পারবে না বলেও তারা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের কাছেই গতকাল এক শিখ ধর্মগুরুর আত্মহত্যার খবর মিলেছে। তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই ফের ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা। বাবা রাম সিং নামের এই ধর্মগুরু তাঁর স্যুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, কৃষকদের বিক্ষোভকে তিনি দৃঢ় ভাবে সমর্থন করেন এবং কৃষকদের প্রতি সরকারের এই অবিচারে তিনি “ক্ষোভ এবং যন্ত্রণা”র মধ্যে ছিলেন। সব মিলিয়ে দিন দিন মর্মস্পর্শী হয়ে উঠছে এই কৃষক আন্দোলন, এমনটা বলাই যায়।