নিউজপলিটিক্সরাজ্য

তৃণমূলে ভাঙ্গন অব্যাহত, মমতাকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত

Advertisement

একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দল ভাঙ্গন এবার বেশ গুরুতর হচ্ছে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তৃণমূল ছাড়লেন ব্যারাকপুর এর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। অনেকদিন ধরেই তার তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে শীলভদ্র দত্ত তাঁর তৃণমূলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করল। বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের এই বিধায়ক। তার বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর দেখা করতে গেলেও কোনো ফল হয়নি বলেই জানা গিয়েছিল।

শীলভদ্র দত্ত দল ছাড়া সাথে সাথেই তার অফিসের বদলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবির বদলে তার অফিসে স্থান পেয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের গেরুয়া রং এর এক ছবি। এছাড়াও তিনি ইতিমধ্যেই সরকারের দেওয়া গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের সরকারি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এখনো থাকলেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “সরকার চাইলে নিয়ে নিতে পারে।” তার অফিসে জোড়া ফুল সরে গিয়ে গেরুয়া ব্যানারে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি তার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিওবা তিনি নিজে এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, ব্যারাকপুর এর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত গতকাল ঋণের অর্থ ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন। তার লিভার ট্রান্সফারের সময় দলের অনেক নেতা তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিল। কিন্তু অনেকে অভিযোগ করেছে, সেই টাকা ছিল দলের টাকা বা তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে হয়েছিল। যদিও এদিন বিধায়ক জানিয়ে দেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি কিছু ব্যক্তির কাছে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন যা তিনি শোধ করে দেবেন। সেটার দলের টাকা ছিল না। ইতিমধ্যেই তিনি উত্তম দাসের ২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।

দুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী তারপর আসানসোলের দাপুটে নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং আজ তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করলেন শীলভদ্র দত্ত। পরপর তৃণমূল নেতারা দল ছাড়াই দলে ভাঙ্গন এবার প্রকট হচ্ছে। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর কার্যত তৃণমূলে হিড়িক পড়ে গেছে জেলায় জেলায়। বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক সভাপতি জেলায় জেলায় দিচ্ছে ইস্তফা। এরপর শীলভদ্র দত্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত বলা যেতে পারে। কিছুদিন আগে তাকে বারংবার মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছে। বরাবরই শীলভদ্র বাবুর ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়। এরপর ব্যারাকপুর এর বিধায়ক কবে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নেবে, সেটাই দেখার।

Related Articles

Back to top button