একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের কাজে নেমে পড়েছে। এরইমধ্যে দুদিনের বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে দেড় মাস আগে অমিত শাহ দুদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন। ভোটের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো ঘনঘন বাংলা আসবেন বলে জানা যাচ্ছে। এরপর থেকে বাংলা সফরে এলে এক মাসে একটানা ৭ দিন থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গতকাল রাত্রে মেদিনীপুরের সভার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গতকাল ছিল আগের কাজগুলি পর্যালোচনা বৈঠক। বাংলা নির্বাচনে বহু নেতা ও মন্ত্রী বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত আছে। কার কাজ কতদূর এগোলো বা পরবর্তীকালে কি করে কাজ করতে হবে সেই নিয়ে মিটিং ছিল। তেমন কোনো বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে ভোট পূর্ববর্তী সময়ে কে কেমন ভাবে কাজ করবে এবং স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করেন অমিত শাহ।”
গতকাল অর্থাৎ শনিবারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভা রাজনৈতিক দিক থেকে যে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তা বলা বাহুল্য। গতকাল তৃণমূল বিদ্রোহী নেতারা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বাংলা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা তৃণমূল শিবিরে চরম অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। যদিও বা এখনই তৃণমূলকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ অমিত শাহ। তৃণমূল জনোনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ফাইটার। তিনি আগে বামেদের ৩৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় জয়লাভ করেছিলেন। অমিত শাহ নিজেও জানেন, বাংলায় দিদিকে হারানো অত সহজ কাজ না। দিদির বিরুদ্ধে লড়তে পুরো টিমওয়ার্ক করে মাঠে নামতে হবে গেরুয়া শিবিরের।
প্রসঙ্গত, আজ অর্থাৎ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বভারতীর উপাচার্যদের সাথে বৈঠক করতে যাবেন। তিনি ঘুরে দেখবেন শান্তিনিকেতন আশ্রম চত্বর। তার সাথে আজ থাকবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও আশ্রমিকরা। তিনি আজকে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন এক বাউল বাড়িতে। তারপর আজ দুপুরেই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাবেন।