দাদার অনুগামী ব্যানারের তলায় চলছিল কর্মসূচি। এমন সময় তার মুখে উঠতে দেখা গিয়েছে বারবার মেদিনীপুরে প্রসঙ্গ। কিন্তু সেই দিন সভায় অমিত শাহর পাশে শুভেন্দু যখন দাঁড়িয়েছিলেন তখন দেখা গিয়েছে মেদিনীপুরের কেবল একজন বিধায়ককে। সেই বিধায়ক হলেন বনশ্রী মাইতি। আর এই ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর কৃতিত্বের কৃতিত্ব নিয়েছে শ্যামল মাইতির কাঁধে। এর সাথে রাজনৈতিক স্তরে প্রশ্ন উঠেছে, শুভেন্দু অধিকারীর মেদিনীপুরে যোগদানের ডাকেকে ঘিরে।
এইদিন সভাতে মেদিনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে শাহের হাত ধরে দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু। সাথে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি উস্কে দিয়েছেন মেদিনীপুরের পুরনো আবেগটি। এই দিন তার বক্তৃতার মাধ্যমে উঠে এসেছে মেদিনীপুরের আগের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং তাম্রলিপ্ত সরকারের কথা। এছাড়া এই দিন তিনি তোলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু এবং মাতঙ্গিনী হাজরা সহ বহু নেতার স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা ও। কিন্তু তিনি কি সাথ পেলেন মেদিনীপুরের মাটির? উঠেছে রাজনৈতিক স্তরে প্রশ্ন।
যে মেদিনীপুরের কথা শুভেন্দু বারবার বলে এসেছেন, সেই মেদিনীপুরের সদ্য দলত্যাগী বিধায়ক বনশ্রী ছাড়া এই দিন কেউই ছিলেন না তার পাশে। ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর সহ আশেপাশের এলাকার কোন বিপ্লবী ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারীর পাশে। কিন্তু পূর্বে দল পরিবর্তনের সময় উঠেছিলে একাধিক বিধায়কের নাম। শনিবারের সভায় তারা দল পরিবর্তনকে নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি। এদিন পাশে দেখা যায়নি তার কোন অনুগামী কেই।
নাম বলতে অনিচ্ছুক তার এক অনুগামীর মতে, “তিনি দল পরিবর্তন করেছেন এবং বিজেপিতে গিয়েছেন নিজের স্বার্থে। তাতে আমাদের লাভ কোথায়? আমাদের তো খেটেই খেতে হবে। সেই দেখলে এই দলে তো ভালোই আছি। কেউ বিরক্ত করেনা। ” তৃণমূলের জেলা কো-একাউন্টেন্ট অখিল গিরির বক্তব্য, ” শুভেন্দু এবং একজন বিধায়ক ছাড়া অন্য কেউই দল পরিবর্তন করেননি। তারা রয়েছেন তৃণমূলেই।”