ডিসেম্বর মাস পড়ে যাওয়ার পরেও শীতের দেখা সেভাবে মিলছিল না। কার্যত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে এবং কুয়াশার জেরে উত্তরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করে এবং গতকাল, সোমবার মরশুমের ছিল শীতলতম দিন। বড়দিনের আগে কার্যত কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তবে সোমবার মরশুমের শীতলতম দিন হলেও আজ, মঙ্গলবার তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বেড়েছে। যদিও তাতে শীতের দাপট কমবে না বলেই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এক ধাক্কায় কলকাতায় ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেমেছিল। কিন্তু আজ শহরের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বেড়ে হয়েছে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও রাজ্যের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে। এর পাশাপাশি বছরের শেষ পর্যন্ত একইভাবে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। কিছুদিনের মধ্যে কাশ্মীরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট দেখা দিলে তার প্রভাব রাজ্যে পড়বে এবং তার ফলে তাপমাত্রা একটু বাধাপ্রাপ্ত হলেও পুনরায় বড়দিনের সময়কালে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
গত রবিবার থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে রাজ্যে। শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি। শুধু এ রাজ্যে নয়, এর পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য বিহারেও চলছে শৈতপ্রবাহ। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও শৈতপ্রবাহ জারি রয়েছে। সব মিলিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য।