আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন। তিনি এর আগেই জানিয়েছিলেন শূন্যপদে ১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে। তবে আজকে তার বিজ্ঞপ্তি জারি এবং ইন্টারভিউ সম্পর্কে সবিস্তারে জানালেন তিনি। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, “আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য রিকুটমেন্ট নোটিশ জারি করবে প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড। তারপর জানুয়ারি মাসেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
আজকে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য রিকুটমেন্ট নোটিশ জারি করবে প্রাথমিক এডুকেশন বোর্ড। তারপর আসন্ন বছর ২০২১ এর জানুয়ারি মাসে ১০ থেকে ১৭ তারিখ অব্দি ইন্টারভিউ হবে। ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অ্যাপোয়েন্টমেন্ট প্যানেল তৈরি করা হবে।” এছাড়াও আজকের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেট পরীক্ষার ব্যাপারে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে অফলাইনে তৃতীয় টেট পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষাতে প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী থাকবে।
এছাড়াও তিনি নবান্নের বৈঠক শিক্ষক ও পুলিশ কর্মীদের নিজের জেলা বাড়ির কাজে বদলির আবেদন নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে সমস্ত কর্মরত হোমগার্ড, কনস্টেবল বা এসআই ১৫ বছর ধরে রাজ্য সরকারের সেবা করছে তারা যদি নিজের বাড়ির কাছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন জানায় তাহলে তাদের যত দ্রুত সম্ভব ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হবে।” তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে ৫০ হাজার পুলিসকর্মীর বদলির আবেদন পত্র জমা আছে। রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব ৩৫ হাজার পুলিশকর্মীকে তাদের পছন্দের জেলায় বদলি করে দেবে।
একই ধরনের সুখবর শিক্ষকদের জন্য। তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি লেভেল শিক্ষক বদলির ব্যাপারে আগ্রহী তাদের এই মুহূর্তে তাদের পছন্দের জেলায় বদলি করা যাচ্ছে না। কারণ সমস্ত জায়গায় শিক্ষকের শূন্যপদ ভরে আছে। কিন্তু যেখানেই কর্মখালি হবে সেখানেই শিক্ষকরা তাদের বাড়ির কাছে বদলি পাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান ইতিমধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৪৬৬ জন শিক্ষককে বদলি দেয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও সেকেন্ডারি লেভেলের শিক্ষকদের পছন্দের জেলায় বদলির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪৯৪০ জনের বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।