নয়াদিল্লি: আগামী সপ্তাহের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ব্যবহারে অনুমোদন দিতে পারে ভারত। ২টি সূত্র মারফত এমনটাই জানতে পেরেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সিরমা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন সম্পর্কিত আরও অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। সেক্ষেত্রে এটিই হতে পারে প্রথম দেশ যারা ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতিকারক সংস্থার ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত আগামী মাস থেকেই দেশের নাগরিকদের জন্য টিকাকরণ চালু করতে চাইছে ভারত। সেক্ষেত্রে ফাইজর ও ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনেরও জরুরি প্রয়োগের অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই করোনা নয়া স্ট্রেন ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে ভারতে। ব্রিটেন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনের দেহে মিলছে নয়া স্ট্রেনের উপস্থিতি। ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনেরে মোকাবিলায় পদক্ষেপেও করেছে ভারত। আজ থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে সমস্ত বিমান যোগাযোগ। যার ফলে বাতিল প্রায় ৭০টি বিমান। আর শুধু ভারতই নয়, পাকিস্তান, পোল্যান্ড স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, রাশিয়া, জর্ডন, ফ্রান্স, হংকং সহ আরও বেশকিছু দেশও ব্রিটেনের সঙ্গে সমস্ত ভ্রমণ সংক্রান্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। করোনার নয়া এই প্রজাতি আরও ৭০ শতাংশ দ্রুত সংক্রমিত হয় বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এর ফলে বাতিল হতে পারে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফর। আগামী বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে অতিথি হয়ে আসার কথা জনসনের। কিন্তু ভাইরাসের নয়া এই স্ট্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বাতিল হতে পারে সেই সফর। এক সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন কাউন্সিল অফ ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশানের প্রধান।
তবে এ দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার এই নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মেলেনি বলেই জানাচ্ছে ভারত সরকার। এই প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনে দেখতে পাওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি এখনও ভারতে কারও মধ্যে দেখা যায়নি।’ তিনি আরও জানান, ‘এখনও পর্যন্ত ভারতে ট্রায়াল চলা কোভিড ভ্যাকসিন বা অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।’