একুশে নির্বাচনের আগে এক প্রকার যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন বাংলা। তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে আজ অর্থাৎ বুধবার কাঁথিতে সভা করল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিল ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায় প্রমুখরা। তবে এই মিছিলে ছিলেননা অধিকারী পরিবারের কেউ। অসুস্থতার কারণে কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিল শিশির অধিকারী। আজকের মিছিলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুভেন্দু গড়ে দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করলেন।
কিছুদিন আগে অমিত শাহ বাংলা সফরে এলে তার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূল বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দেয়ার পরই শাহ সভা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি সিঁড়িতে চড়ে রাজনীতিতে উপরে এসেছি। লিফটে নয়। তৃণমূল কংগ্রেস পুরো পরিবার তন্ত্রে জর্জরিত। আস্তে আস্তে তৃণমূলে পচন ধরেছে। কারুর আত্মসম্মান না থাকলে সে তৃণমূলে থাকতে পারবে। আমি বিজেপিতে পদের লোভে আসেনি। আমি শুধুমাত্র তোলাবাজ ভাইপোকে বাংলা থেকে হটাতে এসেছি। আমায় টিকিট দিতে হবেনা আমি দলের কর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি।”
আজকে কাঁথির মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কথার পাল্টা জবাব দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করে জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবারতন্ত্র নিয়ে তো অনেক আক্রমণ করেন। কিন্তু নিজেরটা ভুলে গেলেন। আপনি বলেন আমার বাবা-মা কেউ নেই, কেউ রাজনীতির সাথে যুক্ত না, আমি সিঁড়ি ভেঙে এসেছি, আর তুমি লিফটে এসেছো। তাহলে শিশির অধিকারী কে?” ফিরহাদ হাকিম শুভেন্দুকে এক হাত নিয়ে বলেছেন, “শিশির অধিকারী না থাকলে আপনার কিছুই হতো না। ২০০৯ সালে অল্প বয়সে যখন আপনি সাংসদের টিকিট পেয়েছিলেন, তখন আপনার পরিচয় ছিল আপনি শিশির অধিকারী ছেলে। আর এখন আপনি এসে তৃণমূলে পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন!”
এছাড়াও আজকের মিছিল থেকে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছে, “শুভেন্দু চলে যায় তৃণমূল কর্মীরা বেশ খুশি। যারা এতদিন ধরে গান্ধীবাদ বা সুভাষবাদ জিন্দাবাদ বলে গেল তারা এখন গান্ধী হত্যাকারীদের দলে নাম লিখিয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিত পূর্ব মেদিনীপুরের সব আসন জিতবে তৃণমূল।”