শুভেন্দু অধিকারী দল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পরে বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি তে একটি হাইভোল্টেজ সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সভাতে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায় সহ আরো অনেকে। সেখান থেকে ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও তাকে মন্তব্য করতে শোনা যায়। আর সেই মন্তব্যের পাল্টা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জবাব দিলেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
পুর এবং নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “শুভেন্দুর লজ্জা লাগা উচিত। কৃষকদের যারা হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে গেলেন। অমিত শাহের পা ছুয়ে কি বললেন একটু জায়গা দাও?” এই মন্তব্যের পাল্টা এদিন শমীক বললেন,”আর কয়েকটা মাস যেতে দিন। দেখবেন ফিরহাদ বলছেন, আমায় একটু জায়গা দাও মা মন্দিরে বসি। ”
ফিরহাদ এদিন কাঁথির সভা মঞ্চ থেকে পরিবারতন্ত্র নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দুকে। শিশির অধিকারীর ছেলে হয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতিতে এগোতে পেরেছিলেন। এই মন্তব্যের পাল্টা শমীক বললেন,”বাবা ছেলের জন্য করবেন তা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই।” এদিন সভা মঞ্চ থেকে ফিরহাদ সরাসরি শুভেন্দু কে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে কটাক্ষ করেছেন। তা নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল শমীক ভট্টাচার্য কে। তৃণমূলকে খোচা দিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বললেন,”মানুষ প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারছে।”
এছাড়াও এদিন শমীক ভট্টাচার্য সরাসরি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন,” রাজ্যবাসীকে নতুন করে দেওয়ার বা বলার তৃণমূলের আর কিছু নেই। অমিত শাহ যেখানে গিয়েছেন, সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অর্থাৎ অমিত শাহ যেখানে যাচ্ছে সেখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে।” বাংলা সফরে অমিত শাহ তৃণমূলের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে রাজ্য কে খোঁচা দিয়েছেন। এদিন সেই খোচার জবাব দেবার জন্য নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রসিকতা করে অমিত শাহ এর কাছ থেকে ধোকলা খেতে চেয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে এদিন শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি সঠিক উত্তর পাওয়া যায় তাহলে ধোকলার সাথে গুড়ের সন্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদিও তৃণমূল শিবির এর তরফ থেকে এই মন্তব্যের কোন পাল্টা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।