আগের সোমবার স্ত্রী সুজাতা খাঁ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপর থেকে বেশ অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। কান্না ভেজা গলায় সৌমিত্র বলেছিলেন,”আজ পর্যন্ত আমি দুই তলা বাড়ি বানাতে পারিনি। তাই সুজাতা তুমি আমার ঘরে আসতে চাওনি। তাতেও আমার বাবা মা কিছু বলেনি। কোনও দিন কষ্ট দেব বলে আমি কষ্ট দেইনি।” এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা কেটে যেতেই স্ত্রী সুজাতাকে নোটিস পাঠিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। কেবল বাড়ি ফিরেছেন তাই না, সেখানে বৃদ্ধ বাবা মাকে প্রণাম করে নতুন জীবন শুরু কথাও বলেছেন সৌমিত্র।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সৌমিত্র তার স্ত্রী সুজাতাকে ঘরের লক্ষ্মী বলেন। আর তার পরেই ডিভোর্স নোটিস পাঠিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন সাংসদ। ডিভোর্সের নোটিসে লেখা রয়েছে, ‘বিয়ের পরের থেকেই ঘর ছেড়ে আলাদা থাকার কথা সৌমিত্রকে বলতেন সুজাতা। কেবল বলতেনই না, আলাদা থাকার মন্ত্রণাও দিতেন সুজাতা। সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন সৌমিত্রের মা বাবা এবং আত্মীয়দের সাথে। মারতেন সৌমিত্রকে। স্ত্রী তাকে মারধর ও গালিগালাজও করতেন।’ এমনটাই অভিযোগ এনেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
স্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে সৌমিত্র বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান নিজের আত্মীয়দের সাথে। এইদিন তিনি বলেন,”মানুষের জীবনে এমন বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটেই থাকে। সুজাতা ভালো থাকুক। উন্নতি করুক সুজাতা। আমি দেশের জন্য কাজ করব।” এইদিন পরিবার তন্ত্রেও সরব হন সৌমিত্র। তার বক্তব্য, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধ দাড়িয়ে অতীতে দেশের জন্য কাজ করেছি। এখনও তাই করব। এইদিন রামহরিপুরের রামকৃষ্ণ মিশনেও যান সৌমিত্র খাঁ। সেখানে মহারাজের সাথে মধ্যাহ্নভোজন করেন সাংসদ। অন্যদিকে তার রাজনৈতিক জীবনের অনেকটা কৃতিত্ব তার মা বাবার, এমনটাই এইদিন বলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খুন করা হতে পারে স্ত্রী সুজাতাকে। এমনটাই সম্প্রতি বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিবাহ বিচ্ছেদের বলার সাথেই এমন আশঙ্কা জানিয়েছিলেন সৌমিত্র। এইদিন তিনি বলেছিলেন,”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দয়া করে সুজাতাকে খুন করবেন না।” রাজ্য রাজনীতিকে অনেকটাই চমকে দিয়ে এইদিন সৌমিত্র খাঁ এর স্ত্রী সুজাতা এক দিনই রাজ্য রাজনীতিকে এদিন সৌমিত্র অভিযোগ করেছেন, সুজাতা চেয়েছিলেন’ বিজেপির থেকে পদ। তা না পাওয়ায় এইদিন উচ্ছ্বাসের সাথে তৃণমূল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সৌমিত্র পত্নী৷ সৌমিত্র খাঁ এর কথা অনুযায়ী, ডলি পদ পাওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে সুজাতার সাথে মতভেদ। এই বিবাদ চলছিল বিগত তিনমাস ধরে।