বাংলাতে গুজরাট বানাবো, এই কথা বলে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন,”বাংলার যা বিকাশ হয়েছে, তার থেকে বাংলা থেকে বেশি বাংলার বাইরের মানুষের অবদান রয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকে রোজগারের জন্য ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় আসেন মানুষ। গঙ্গার পারের সমস্ত জুটমিলে বাইরের মানুষেরা কাজ পেতেন। এই কারণে বাংলার বিকাশে বাংলার মানুষের থেকে বাইরের মানুষের অবদান অনেক বেশি।” আর সেই মন্তব্যের পর এই এবারে সরাসরি দিলীপ কে কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার সংগীত মেলার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখান থেকে ধর্মীয় বিভাজন এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। বিজেপি কে কটাক্ষ করে তিনি বললেন,”বাংলায় এসে বাংলার যতই নিন্দা করো না কেন, বাংলাকে গুজরাত হতে দেবো না। বাংলাতে ধর্মীয় বিভাজন এর কোন স্থান নেই। সকলের ধর্ম আলাদা, কিন্তু তারা সকলে একই মানুষ। গোটা মানব জাতি একটা পরিবার। একে ভাগ হতে দেওয়া যাবে না।”
রবিবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত অথবা কৃষকদের কৃষক সম্মান নিধি যোজনা বাংলা সরকার চালু করছে না। তিনি খতিয়ান দিয়েছিলেন, বাংলা সরকারের সমস্ত কাজ কিভাবে কিভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন, যদি তাদেরকে সরকার করতে দেওয়া হয় তাহলে তারা পাঁচ বছরের মধ্যে সোনার বাংলা গড়ে দেখাবে। এই ইস্যুতে এদিন মমতা ব্যানার্জি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে নিশানা করে বলেন, সোনার বাংলা? সোনা কাকে বলে, রুপো কাকে বলে , তামা কাকে বলে উনি কি জানেন? এটা নিশ্চয়ই জানেন আর্মস কাকে বলে? সেকিউলার কাকে বলে? মমতা বারবার অভিযোগ করে এসেছেন। অমিতের দল বাংলায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করছে। এই বিষয়গুলি অমিত শাহ কে মনে করিয়ে দিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন,”অমিত জি কে বলব, আপনিতো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সমস্ত মিথ্যে কথা, খারাপ কথা আপনার মুখে শোভা পায় না। তাই যখন এই সমস্ত কথা বলবেন তার আগে সবকিছু ক্রস চেক করে নেবেন”