কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায় দুই জঙ্গি। দুজনের মধ্যে একজন আবার উপত্যকার ফুটবলার। জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ ছিল সে।
বৃহস্পতিবার বারামুলায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। অভিযোগ, তখন তাদের দেখেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। তাতে মারা যায় ওই দুই জঙ্গি। দুই জঙ্গি জইশের সদস্য। একজন পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে দাবি। অন্যজনের নাম আমির সিরাজ। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সোপোরের বাসিন্দা সিরাজের ফুটবল খেলায় পরিচিতি ছিল। কিন্তু জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। পুলিশের দাবি, বাড়ি থেকে পালিয়ে জইশের যোগ দেয় সিরাজ। পরে জঙ্গি ট্রেনিং নিয়ে নাশকতা চালাতে উপত্যকা ফিরে এসেছিল সে।
জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়েই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ২৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ১৭৬বি সিআরপিএফ ও বারামুলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী অভিযানে অংশ নেয়। পুলিশের দাবি, ওই দুই জঙ্গি কোণঠাসা হয়ে একটা বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে। তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেসবে কর্ণপাত না করেই গুলি চালাতে থাকে। তারপরে বাধ্য হয়ে সেনা গুলি চালায়। তখন ওই দুই জঙ্গি মারা যায়।
জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের দাবি, অপর মৃত জঙ্গির নাম আলিস লাঙ্গো। আলিস পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে দাবি করা হচ্ছে। এরা দুইজনেই জইশের ট্রেনিংপ্রাপ্ত জঙ্গি। উপত্যকায় সাম্প্রতিক কিছু জঙ্গি হানার পিছনে সিরাজ ও আলিসের হাত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ, কার্তুজ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা এলাকা নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আনা হয়েছে। এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। চলতি বছরে অন্তত এক ডজনের বেশি কাশ্মীরের স্থানীয় বন্দুক ফেলে সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এরা প্রত্যেককে মগজধোলাই করে জঙ্গিদের দলে সামিল করা হয়েছিল বলে দাবি। ২০১৭ সালে বছর ২০ মজিদ খান লস্করে যোগ দেয়। পরে আত্মসমর্পণ করে মূলস্ত্রোতে ফিরেও আসে সে।