কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল এর খেলা চলছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ উত্তাপ বাড়িয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার। আর তার কিছুদিন আগেই বঙ্গ রাজনীতি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল আসানসোল পুরোনিগমের প্রশাসক এবং দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সে আবার অরূপ বিশ্বাসের সাথে বৈঠকের পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয়। তিনি বলেছিলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। আমি তৃণমূলেরই আছি।” কিন্তু সেই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে এখন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
দলীয় সূত্রে খবর, জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলে থাকলেও তার ডানা ছাটতে চাইছে তৃণমূল। দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বড়ই বিপাকে পড়েছেন জিতেন্দ্র। সে যেই দুই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিল সেই পদ তাকে এখন ফিরিয়ে দেয়া হবে না। হয়তো এটাই তার দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তোলার শাস্তি। এখনই তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ফেরাতে নারাজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। কারণ এমনিতেই জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে আসানসোল এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাংশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ রয়েছে। এই মুহূর্তে জিতেন্দ্রকে পদ ফিরিয়ে দিলে, সেই সব নেতারা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মনোমালিন্যের কারণে তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর তখনই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে আসানসোল পুরোনিগমের প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদত্যাগ করেছিলেন পুরো প্রশাসক এবং তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ থেকে। তবে সেই মনোমালিন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মিটে যায়। কিছুদিন আগেই সবাই ভেবেছিল শুভেন্দু অধিকারীর পরেই দল ছাড়বে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সমস্যার দিন রাতেই আসানসোলের তৃণমূল নেতা কলকাতায় এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর সাথে বৈঠক করেন। আর বৈঠক করে বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছিল। দোষটা আমার। আমি তৃণমূলেই থাকবো। আমি দিদিকে কষ্ট দিয়ে বাঁচতে পারব না।”
দলীয় সূত্রে খবর, এখন আসানসোলে পুরসভায় প্রশাসক বোর্ডে যারা সদস্য রয়েছে তাদের মধ্যে থেকেই প্রশাসক বোর্ডের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হবে একজনকে। জেলা সভাপতি হিসেবে বেছে নেয়া হবে নতুন কাউকে। ফলে আপাতত তৃণমূলে থাকলেও জিতেন্দ্র আর কোন পদ পেল না। হয়তো শাসকদল তার সততা যাচিয়ে দেখে নিতে চাইছে।