যতই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল-বিজেপি বাকবিতণ্ডায় সরগরম হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। আবারো আজ অর্থাৎ রবিবার দক্ষিণ সিঁথির চায় পে চর্চাতে উপস্থিত থেকে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রায় প্রতিদিনই দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাসক দলকে আক্রমণ করেন। আজও ঠিক একইভাবে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “মমতা সরকার রাজ্যের ধর্ষকদের শাস্তি দিতে শিখেনি। লজ্জা লাগা দরকার।”
গত শনিবার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে নদীয়ার পলাশীতে। আর সেই ঘটনার তদন্ততে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর আগেও রাজ্যে অরাজকতায় পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর আজ অর্থাৎ রবিবার দিলীপ ঘোষ মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে ফের সোচ্চার হলেন। তিনি বলেছেন, “বাংলার মহিলারাও দিদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলে কমপক্ষে মহিলা নিরাপত্তার কথা ভাবা হবে। কিন্তু রাজ্যে মহিলা নিরাপত্তা নেই। সন্ধ্যেবেলা বের হতে হলে চিন্তা করতে হয় অনেক মহিলাদের। যারা ধর্ষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হিম্মত নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সবই কাটমানি নিয়ে চলছে। মহিলাদের ইজ্জত টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে রাজ্য সরকার। লজ্জা লাগা দরকার।”
এছাড়াও এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “বাংলার মানুষ কোন রাজনৈতিক দলের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে গেলে তারা পরিবর্তন চায়। আগে সিপিএমের সময় পার্টির বিরুদ্ধে কথা বললে গ্রামে সালিশি সভা বসত। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রমূখদের বিরুদ্ধে কথা বললে দু বস্তা চাল জরিমানা দিতে হতো। তাই বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে সিপিএমকে গলা ধাক্কা দিয়ে বার করে তৃণমূলকে এনেছিল। কিন্তু আবারো শাসকদলের অরাজকতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলার মানুষ। তাই মানুষ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিশ্চয়ই পরিবর্তন আনবে।”