নয়াদিল্লি: দেশের ৪ রাজ্যে শুরু হচ্ছে কোভিড ভ্যাকসিনের মক ড্রিল। এই ৪ রাজ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির অবস্থা কেমন, করোনাবিধি মানা হচ্ছে কিনা, কোল্ড স্টোরেজ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষায় এক প্রকার ড্রাই রান চলবে এই ৪টি রাজ্যে। সেই জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
পঞ্জাব, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতে ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলবে এই ড্রাই রান। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন জানুয়ারি মাস থেকে করোনা টিকা চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার টিকা চলে এলে ভারতের মতো গোটা দেশে টিকাকরণ পদ্ধতি মোটেও সোজা নয়। তাই আগেভাগে একটা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি চালাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এই মক ড্রিলে ভ্যাকসিন ছাড়া যাবতীয় কিছুই পরীক্ষা করা হবে। করোনা দূরত্ব বিধি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল, কোল্ড স্টোরেজ, ভ্যাকসিন সরবরাহ বিভিন্ন জিনিস খুটিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
দিল্লি বিমানবন্দরে ইতিমধ্যে ২.৫ মিলিয়ন ভ্যাকসনি রাখার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। এই জন্য বিমানবন্দরে সুবিশাল কুলিং চেম্বার তৈরি করা হচ্ছে। এই কুলিং এর জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। এখানে ২০ ডিগ্রির তাপমাত্রা ভ্যাকসিন রাখতে হবে। একসঙ্গে ২৭ লাখ ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। একদিনে ৫৫ লাখ টিকা সরবরাহ করা সম্ভব। প্রয়োজন সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।
কোথায় হবে এই মক ড্রিল? বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল, কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চলবে এই মক ড্রিল। এই ড্রাই রানের মাধ্যমে কেন্দ্র বুঝতে চাইছে টিকাকরণ কর্মসূচি একবার শুরু হলে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে হবে। তাই জন্য এই ৪টি রাজ্যকে বাছাই করা হয়েছে। প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। দেশে ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ রবিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ১৮ হাজারে নেমে এসেছে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতেও ইঙ্গিত জানুয়ারি মাসেই আসতে পারে কোভিডের ভ্যাকসিন। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। এখন তাই মক ড্রিলেই কেন্দ্র আগাম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।