বীরভূম তথা গোটা বাংলার তৃণমূল দাপুটে নেতার মধ্যে একজন সবার প্রিয় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টদা। কিন্তু গতকালের হেভিওয়েট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বোলপুর রোড শোতে দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনকি সভামঞ্চে তার উপস্থিতি তেমন একটা লক্ষ্য করা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার গোটা বক্তৃতার মাঝে মাত্র একবার নিয়েছিলেন কেষ্ট দার নাম। কিন্তু কালকের সভার মূল উদ্যোক্তা ছিল অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল সুপ্রিমোর এখানে আচরনে রীতিমতো হতবাক “কেষ্ট অনুগামীরা”।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে অনুব্রত গড়ে রোড শো করেন। বোলপুরের লজ মোড় থেকে জামবুনি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ধরে চলে এই রোড শো। তাতে উপস্থিত ছিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। অনেকেই বলেছিলো এতটা রাস্তা উনি হাঁটতে পারবেন না বলে আসেননি। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয়। রোড শো এর পর সভামঞ্চেও মমতার পাশে ঠাঁই হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের। আর এই অনুব্রত মণ্ডল কিছুদিন আগে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা সভা করতে দুবার ভাবেনি। অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন অমিত শাহের সভার জায়গায় ২.৫ লক্ষ লোক আসবে। কালকে সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন তিনি। কিন্তু তাকে সক্রিয়ভাবে একবারও দেখা যায়নি।
মমতার সভামঞ্চে ছিলেনই না অনুব্রত মণ্ডল। সাথে সরাসরি সম্প্রচার তাকে খুব কম সময়ের জন্য দেখা গেছে। মমতার সাথে মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ অসিত মাল, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দি রায়। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন বাসুদেব দাস বাউল লক্ষণ দাস বাউল। সভার শেষে একবারের জন্য কেষ্ট দার নাম উচ্চারণ বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে কেষ্টদার মমতার পাশে সভামঞ্চে না থাকা কি কোন তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক ইঙ্গিত দিচ্ছে?
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন আচরণের তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধী পক্ষ। বিজেপি বাংলা দলের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেছেন, “মঞ্চে রবীন্দ্রনাথের ভাবধারা দর্শন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে বিদগ্ধ মানুষটি ছিলেন না? হয়তো ইচ্ছা করেই দিদি তাকে শোকেসে রাখেনি। পাছে ইমেজ নষ্ট হয়ে যায় যদি।”