একুশে নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তিনি কিছুদিন আগে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে তার সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টা পরেই ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূলে ফিরতে চান তিনি। তারপর থেকে মাঝে কিছু জল্পনা-কল্পনা জড়ালেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার তার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা ১৮ দিনের মাথায় তাকে ফের দলীয় অনুষ্ঠানে তৃণমূলের হয়ে গলায় সুর তুলতে দেখা গেল।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি আজ শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। আজকের অনুষ্ঠান হয় লাউদোহা ব্লকের আমলকা গ্রামে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, হরেরাম সিং এবং দলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই আজ বক্তৃতা দিতে গিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল কটাক্ষ করেছেন।
আজকের সভা মঞ্চ থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ তোলে যে কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেছেন, “২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচার করতে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন বিজেপি সরকার যদি পশ্চিমবাংলায় আসে তাহলে বাংলার মানুষ ডবল লাড্ডু পাবে। অর্থাৎ একদিকে বাংলার উন্নয়নে যেমন রাজ্য সরকার সাহায্য করবে ঠিক তেমনভাবেই পাল্লা দিয়ে সাহায্য করবে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ৬ বছর হয়ে গেলেও উন্নয়নের কোন সহযোগিতা তো করেনই কেন্দ্র বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যা করার চেষ্টা করছে তা বানচাল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। রাজ্যতে অরাজকতা সৃষ্টি করছে গেরুয়া শিবির।”
জিতেন্দ্র তিওয়ারি আজকে আরো বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের স্লোগান হলো বদলা নয়, বদল চাই। এর থেকে বোঝা যায় তৃণমূল শুধুমাত্র উন্নয়নমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োজিত করতে চাই। এটাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষত্ব। সেই সাথে বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় আসবে নাকি তার ঠিক নেই কিন্তু এখন থেকেই বলছে বদল আর বদলা দুটোই নেবে। এখন থেকেই হিংসাত্মক বিজেপি। জাতপাতের নোংরা খেলা করে গেরুয়া শিবির রাজনীতি করে। বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে একুশে নির্বাচনে তৃণমূলকে জয়যুক্ত করতে হবে সাধারণ মানুষদের।”