কলকাতা: সিবিআই হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল (TMC) নেতা বিনয় মিশ্র। কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই তাঁর ৪টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। ৩১ ডিসেম্বর ( Decembet) তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়। ৪ তারিখের মধ্যে তাঁকে সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও দেখা পাওয়া যায়নি বিনয় মিশ্রের। তার বিরুদ্ধে এখনও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এক বাংলার দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। অভিযোগ,গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল তাঁর। কিন্তু বাড়িতে হানা দেওয়ার পর থেকেই দেখা পাওয়া যায়নি এই নেতার। বিনয় মিশ্রের বাড়িতে হানা দিতেই রাজনীতিতে চরম ওঠে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেন, ‘বিনয় মিশ্র গরুপাচারের মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন। এই অভিযোগ আমি অনেকদিন আগেই করেছি। অনুপ মাঝি ওরফে লালা থেকে শুরু করে বাকি পাচারকারীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হবে এসব বিনয় মিশ্রই দেখত। সব রিপোর্ট আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে জমা দিয়েছিলাম। তার জন্য হুমকিও এসেছিল আমার কাছে। বিনয় মিশ্র রাজ্যে আইপিএস-সহ প্রশাসনিক অফিসারদের বদলির বিষয়েও নাক গলাতেন।’
এক বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,এক সময়ে গৃহ শিক্ষকতা করেন বিনয় মিশ্র। এর পাশাপাশি মার্বেলের ব্যবসাও ছিল তাঁর। ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন ছিল তাঁর। কিন্তু আচমকাই তাঁর লাইফস্টাইল বদলে যায় উল্কার গতিতে। বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি গাড়ি। শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যত্তিত্বদের মাঝে দেখা যেত। যা নজর এড়ায়নি এলাকাবাসীদের। গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তে তাঁকে খুঁজছে সিবিআই। দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিবিআই অনুমান করছে সম্ভবত দুবাইয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বিনয় মিশ্র। সেই ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপে কী করা যায়, সেটাই এখন ভেবে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।