নতুন বছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, জানুয়ারিতেই দেওয়া হবে ৩ শতাংশ ডিএ

কলকাতা: নতুন বছরেই (New Year) রাজ্য সরকরি কর্মীদের জন্য সুখবর। ৩ শতাংশ হারে বাড়ল ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।…

Avatar

কলকাতা: নতুন বছরেই (New Year) রাজ্য সরকরি কর্মীদের জন্য সুখবর। ৩ শতাংশ হারে বাড়ল ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। এমনকি রাজ্যের যে সমস্ত কর্মীরা ২ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পান তাঁরাও এই মহার্ঘ্য ভাতার আওতায় বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

কিছুদিন আগেই তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারীদের এক সভায় মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে অতিরিক্ত খরচ হবে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু সবদিক বিচার করে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সেই মতো এবার বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করল রাজ্যের অর্থ দফতর।

নতুন বছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, জানুয়ারিতেই দেওয়া হবে ৩ শতাংশ ডিএ

সরকারে এই ঘোষণায় খুশির হাওয়া সরকারি কর্মচারিদের একাংশের মধ্যে। তবে এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বামপন্থী কর্মচারি সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিং আগেই জানিয়েছিলেন যে, “২০১১ সালের পর থেকেই আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাই না। বছরে একটা করে ডিএ ঘোষণা হয়। ফলে প্রতি বছর বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ বাড়তে থাকে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পরেও সেই বৈষম্য কাটেনি। এই মুহূর্তে অন্তত ২১ শতাংশ ডিএ বকেয়া। জানুয়ারিতে সেটা ২৪ শতাংশে পৌঁছবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন মাত্র ৩ শতাংশ। এ ভাবে ভিক্ষের দানে চলতে পারে না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা তো বটেই, অন্যান্য রাজ্য সরকারের কর্মীরাও নিয়ম অনুযায়ী ডিএ পাচ্ছেন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা পাচ্ছেন না।” সেক্ষেত্রে সরকারে সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন বলে সাফ জানিয়ে দেন বিজয়শঙ্করবাবু।

প্রসঙ্গত,  ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু সে ঘোষণা ছিল ডিএ হীন। এই পরিস্থিতি ক্ষোভ বাড়ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভের প্রভাব ভোট বাক্সে পড়তে পারে বলে হয়ত আশঙ্কা করেছিল শাসক দল তথা রাজ্য সরকার। আর সে কারণে কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনেই হয়ত এই ঘোষণা রাজ্যের।