নিউজপলিটিক্সরাজ্য

নাড্ডাকে ভিক্ষা দেওয়া ৫ কৃষক গেল তৃণমূল বিধায়কের সাথে দেখা করতে, ভোলবদলে জল্পনা তুঙ্গে

কৃষকদের ভয় দেখিয়ে এসব করা হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির

Advertisement

ঠিক গতবারের মতো বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বাংলা সফর করে যাওয়ার পর ভোলবদল হল প্রেক্ষাপটের। এবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বর্ধমান জেলার কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে গিয়ে কৃষকদের সাথে জনসংযোগ বৃদ্ধি করেছিলেন। তিনি সেদিন পাঁচজন কৃষক বাড়ি থেকে চাল ও সবজি ভিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করে গেরুয়া শিবিরের এক মুঠো চাল প্রকল্পের সূচনা করেছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপির কর্মসূচির একদিন পেরোতে না পেরোতেই ওই পাঁচজন কৃষক সরাসরি কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে দেখা করলেন। স্বভাবতই বঙ্গ রাজনীতিতে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল চাপানউতোর।

গত শনিবার পূর্ব বর্ধমানের একটি জনসভা কর্মসূচিতে গিয়ে নাড্ডা কাটোয়ার গ্রামে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দা নিতাই মন্ডল, পাঁচকড়ি মন্ডল, সনত মন্ডল, উত্তম মন্ডল ও মথুরা মন্ডলের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে ধান ভিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে তিনি দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন সারেন মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তারা পাঁচজন কর্মসূচির পরের দিন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে দেখা করেন।

বাংলা গেরুয়া শিবির এই ঘটনায় কাঠ গড়ায় তুলেছে শাসকদলকে। তারা দাবি করেছে, ওই কৃষকদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। তাই তারা বাধ্য হয়ে অনিচ্ছা সত্বেও তৃণমূল বিধায়কের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। তৃণমূল দাবি করেছে, “নাড্ডাকে ভিক্ষা দানের পর যাতে ভুল বার্তা না যায় সে জন্য তৃণমূল বিধায়কের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছিলেন ওই কৃষকের পরিবার।” এই প্রসঙ্গে বিজেপির বর্ধমান পূর্ব জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনিল দত্ত বলেছেন, “ওদেরকে ভয় দেখিয়ে ডাকা হয়েছে। এটাই তৃণমূলের কালচার। আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের অতিথিয়তা গ্রহণের জন্য রাজ্যের যেখানে গিয়েছেন পরবর্তীকালে সেই পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে দলে টানা হয়েছে। তবে তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক না কেন আগামী বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করবে।”

অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে কাটোয়ার বিভাগ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “গ্রামের কৃষকদের বাড়িতে নাড্ডা সাহেব ভিক্ষা নিতে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে দিয়েছে। বাংলার মহিলারা ভিক্ষার জন্য কেউ গেলে তাকে খালি হাতে ফেরায় না। এটাই বাংলার বৈশিষ্ট্য। তারা নাড্ডাকে সৌজন্যতা দেখিয়েছে মাত্র। ওই পরিবার প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে আছে।”

Related Articles

Back to top button