সাগর: রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি (Makar Sanglranti)। বছরের শুরুতে যেমন শীত (Winter) উধাও হয়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনই মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই রাজ্যে ফের কনকনে ঠাণ্ডা ফিরে এসেছে। চলছে উত্তরে হাওয়া। আর মকর সংক্রান্তি মানে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যাত্রা। কথায় বলে সব তীর্থ বার বার গঙ্গাসাগর একবার। তাই এই মকর সংক্রান্তির পূন্যলগ্নে সকলেই গঙ্গাসাগর যাওয়ার একবার অন্তত চেষ্টা করে থাকে। তবে এবার করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির কারণে গঙ্গাসাগরের চিত্রে কিছুটা বদল ঘটেছে।
প্রত্যেক বছর গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তি উৎসব উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে। তবে এবার সেই ভিড় ততটা চোখে পড়বে না। তবুও মকর সংক্রান্তির ২৪ ঘণ্টা আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে গঙ্গাসাগরে। যে কোনওরকমের বিপদ এড়াতে বা বিপদের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা। দিনভর সাগরের পাড় ধরে চলছে পেট্রোলিং। এছাড়াও যে কোনওরকমের পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য মহড়াও চলছে।
প্রত্যেকবারই গঙ্গাসাগরের মেলা জুড়ে জোরদার নিরাপত্তা লক্ষ্য করা যায়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। তবে শুধু নিরাপত্তা নয়, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সকলে, এমনটাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পিটিএসের মাধ্যমে ঘাটগুলি থেকে অধিক ভিড় কাটানোর জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে নৌকাগুলি থেকে।
মেলা প্রাঙ্গণে খোলা হয়েছে মেগা কন্ট্রোলরুম। বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত প্রায় ১১০০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। গতকাল, মঙ্গলবার মেগা কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসু। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর চত্বর জোরদার আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে, এমনটা বলাই যায়।