দেশনিউজ

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে হবে টিকাকরণের সূচনা, ১৬ জানুয়ারি চালু হবে CO-WIN অ্যাপও

Advertisement

নয়াদিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে আগামী ১৬ জানুয়ারি (January) CO-WIN অ্যাপটিও লঞ্চ করতে চলেছেন মোদি। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একসঙ্গে টিকাদান শুরু হবে।

জানা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লির  লোকনারায়ণ জয় প্রকাশ হাসপাতালে এই টিকাদানকর্মসূচি  শুরু হবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। এছাড়া দিল্লির  রাজিব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে।

এদিকে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের সাত লক্ষ ডোজ এসে পৌঁছেছে কলকাতায়। কলকাতায় এসএসকেএম এবং এনআরএসে হবে এই টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরও টিকাকরণ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশকর্মীদের এবং তৃতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে।

প্রথম দফায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীর পরে আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে গোটা দেশের প্রায় ৩০ কোটি দুর্বল স্বাস্থ্যের ঝুঁকি পূর্ণ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে। ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীর পরেই টিকা পাবেন ২ কোটি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা। তারপরেই ৫০ উর্দ্ধো ২৭ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। একইসাথে যাদের কোমরবিডির সমস্যা রয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবেন বলেও খবর।

রাজ্যে দুটি জায়গায় ভ্যাকসিন স্টোর করা হয়েছে৷ একটি বাগবাজারে রাজ্য সরকারের ভ্যাকসিন স্টোর এবং দ্বিতীয়টি হেস্টিংসে ভ্যাকসিন হাব৷ বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে হেস্টিংস থেকে ভ্যাকসিন যাবে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে৷ ২০২১-এর শুরুতেই কোভিশিল্ড ছাড়াও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকেও জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরুর জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। মূলত ২৮ দিনের ব্যবধানেই কোনও ব্যক্তিকে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকেই মানবদেবে এই দুই করোনা টিকাই সর্বোচ্চ সুরক্ষা বলয় প্রদান করতে শুরু করবে বলে আইসিএমআর, স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও  নীতি আয়োগের তরফে আয়োজিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

এদিকে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ কার্যকরী বলে জানা গিয়েছে। সেখানে কোভ্যাক্সিন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কার্যকরী বলে খবর। দুই ভ্যাকসিন শরীরে করোনা প্রতিরোধী পাঁচিল তুলে ভাইরাস দমনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে সক্ষম। একইসাথে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও বিশেষভাবে ছাপ ফেলতে সক্ষম। তবে রেজিস্ট্রেশন বা নাম নথিভুক্ত না করলে কোনও ব্যক্তি কখনও ভ্যাকসিন পেতে সক্ষম হবেন না বলে সাফ জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নাম নথিভুক্ত সম্পন্ন হলেই তাকে টিকাকরণ কেন্দ্র, সময় ও বাকি বিষয়ে আপডেট করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে COWIN অ্যাপ বা সাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর, আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরবর্তীতে মোবাইলে আসা ওটিপির মাধ্যমে তথ্য যাচাই করতে হবে কোনও গ্রাহককে। তারপরই তার কাছে টিকাকরণ কেন্দ্র ও টিকাকরণের সময় জানিয়ে সরকারের তরফে মেসেজ পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Related Articles

Back to top button