গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে আর কোন বাধা রাখলো না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মেলার ক্ষেত্রে কিন্তু অনুমতি রাখা হয়েছে। সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে আগত পুণ্যার্থীদের ডুব স্নানে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। মেলা প্রাঙ্গণে ই স্নান একেবারে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি পুনরায় এই মামলা প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ এর ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার দাবিতে মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল হাইকোর্টের। তবে মুখ্যসচিবের দেবা রিপোর্ট দেখে আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,’ রাজ্য ই স্নানের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এটা কোন সমস্যার উত্তর হতে পারে না। আপনার স্বাস্থ্য সচিব কি এক্ষেত্রে কোন বৈজ্ঞানিক উপায় বের করতে পারবে?” তারা জানিয়েছেন, স্নানের ক্ষেত্রে সংক্রমনের আশংকা এখনো থেকে যাচ্ছে। তারপর বিকেল চারটের মধ্যে আবারও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এরপর বিকেল চারটের সময় শুনানি শুরু হয়। সেখানে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমুদ্রের নোনা জলে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ এখনো পর্যন্ত তেমন ভাবে পাওয়া যায়নি। তবে একেবারেই সংক্রমণ হবে না এরকম কিন্তু বলা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুরের একটি প্রশ্নে রাজ্য জানিয়েছে, সরকার মেলা প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে ই স্নানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মাইকিং এর মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের এই প্যাকেজ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। যারা ঘরে বসে এই প্যাকেজ অর্ডার করবেন তাদের থেকে কিছু টাকা নেওয়া হবে।
সমস্ত কিছু শুনে শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাস্নানের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তার সাথে গঙ্গাসাগর মেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি শুনানিতে খতিয়ে দেখা হবে রাজ্যের পরবর্তী রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে পরিস্থিতি কতটা ঠিকঠাক রয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।