একুশে নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় দলবদল। তৃণমূল একাধিক নেতাকর্মী গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। আর তার আঁচ পেয়েছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। তাই তড়িঘড়ি গতকাল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy) দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে বৈঠক করেন। এছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijaybarghya)। তারা দলের মধ্যে অন্তর্কলহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখন অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মানে এই নয় তারা টিকিট পেয়ে গেছে। অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলে কোন শর্তে যোগ দেওয়া যাবে না। টিকিটের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না বিজেপি। এই নিয়ে বৈঠক শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “আমরা শুধুমাত্র অন্য দল থেকে এলে তাদের হাতেই আমাদের দলের পতাকা তুলে দিচ্ছি। তার মানে এই নয় যে তাদেরকে আমরা টিকিট দিয়ে যাচ্ছি। দলিলে টিকিট পাওয়া যাবে না। নির্বাচনের আগে টিকিট বন্টন হবে জয়ের সম্ভাবনার ভিত্তিতে।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বেরা ইতিমধ্যে তাদের নির্বাচনী রণনীতি গুছিয়ে নিতে কাজে লেগে পরেছে। তারা কোন জেলায় কে জিততে পারে তা জানতে গোটা রাজ্যে ৭ টি জোনে ভাগ করে ৭ জন নেতাকে ময়দানে নামিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে দিল্লিতে রিপোর্ট দিয়েছে। অন্যদিকে RSS নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, “দলের নেতা বাড়াতে আদর্শের সাথে কোন রকম আপস করা হবে না।” অন্যদিকে এবার নির্বাচনের আগে বিজেপির মূল লক্ষ্য বড় সভা আয়োজন করা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক বিজেপি পর্যবেক্ষক দিল্লিতে জানিয়েছে তারা তৃণমূলের মত বড় সভার আয়োজন করতে পারছে না।