কলকাতা: কেষ্টপুরের (Kestapure) ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন। ভস্মীভূত ৬টি বাড়ি। আজ, শনিবার (Saturday) বেলার দিকে আচমকা আগুন লাগে প্রথমে একটি বাড়িতে। তারপরে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আসে মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু (Purnendu Basu)। ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দাদের সাহায্যে আশ্বাস দেন তিনি।
এলাকা খুব ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কীভাবে ওই এলাকায় আগুন লাগে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দমকল। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বাগবাজারে ভয়ানক আগুনের স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। তার মধ্যেই এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ে আতঙ্ক। প্রসঙ্গত, শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অগ্নিকাণ্ড ঘিরে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অগ্নি নির্বাপক বিধি পর্যাপ্ত না থাকা সঙ্গে কার্যত জতুগৃহ হয়ে থাকে গোটা এলাকা। ফলে মাঝেমধ্যেই শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলি থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর মেলে।
কেষ্টপুরে আগুনে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে আসেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তিনি জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি এখানে এসেছি। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওখানে মোট ৬টি ঝুপড়ি ছিল। সবকটি ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দমকল দারুণ কাজ করেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। পাশের ক্লাবে কিংবা অন্য কোথাও ওখানকার বাসিন্দাদের অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। সরকারি আইন অনুযায়ী সাহায্যের জন্য আইসির সঙ্গে আলোচনা করছি।
স্থানীয়দের দাবি, প্রত্যেকটি পরিবারই বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওখানে থাকতেন। আগুন প্রথমে লাগে বাড়ির মালিকের বাড়িতে। তারপরে তা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা কার্যত কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। তখনই আতঙ্কিত হয়ে যান সকলে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।