লড়াই ছিল যাদের বিরুদ্ধে, শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) হাত ধরে তারাই এখন চলে এসেছেন বিজেপিতে। সেই কারণে বিজেপি ছাড়লেন একঝাঁক পুরনো কর্মী-সমর্থক। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে তেখালির গোকুলনগর মাঠে বিক্ষোভ দেখান দলত্যাগী গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। এইদিন তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শুভেন্দু অনুগামীদের দল থেকে বার না করলে পদত্যাগ করবেন সমস্ত পুরনো বুথ সভাপতিরা।
নন্দীগ্রাম- ২ নং ব্লকের আমদাবাদ- ১ পঞ্চায়েতের সুবদি গ্রামের বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, শুভেন্দু অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় দিন্দা, প্রভাস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দল বদল করার ফলে এখন তারা সহ কর্মী। কিন্তু এই নেতারাই এক মাস আগে পর্যন্ত স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছেন। একের পর এক ভুয়ো মামলা দায়ের করেছেন। এমন নেতাদের সাথে এক মঞ্চে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দল ছেড়েছেন বেশ কিছু নেতা কর্মী।
শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতেই নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় দলে আদি-নব্য কন্দোল শুরু হয়ে যায়। প্রতিপক্ষ রাতারাতি সহকর্মী হওয়া মানতে পারছেন না অনেকেই। অনেক জায়গায় নবাগতরা আদিদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। এমন অবস্থায় ক্ষোভ ডানা বেঁধেছে বিভিন্ন স্থানে। গত ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভায় পাওয়া গিয়েছিল তার আঁচও।
শাসক শিবিরের দাবি, “দল বড় করতে গিয়ে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাই অচিরেই পুরনো বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন।” পালটা বিজেপির দাবি, “দল বড় হলে ক্ষোভ – বিক্ষোভও বাড়তে থাকে। সে সব কথা বলে কী ভাবে মিটিয়ে নিতে হয় তা ভারতীয় জনতা পার্টি জানে।”