ডিজেলের উপরে ট্যাক্স কমানোর দাবিতে এবারের নতুন করে সরব হলেন বাস মালিকরা। তারা দাবি জানিয়েছেন, যেভাবে একে একে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাকে ভাড়া বাড়িয়ে তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না। তাই এবারে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে পেট্রোপণ্যের উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। এই মর্মে মঙ্গলবার বৈঠক হয়েছিল বাস মালিক সংগঠনের। সেই অনুযায়ী আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি বাস এবং মিনি বাস ধর্মঘটের ডাক দিল পাঁচটি বাস মালিক সংগঠন। বাস মালিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্যাক্সিচালকরাও ২,৩ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার বৈঠক হয়েছিল বাস সংগঠন গুলির মধ্যে। সেখান থেকে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এই বাস মালিক সংগঠনগুলি। তারা জানিয়েছে আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি তারা বাস ধর্মঘটের ডাক দিতে চলেছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট সহ পাঁচটি সংগঠন ধর্মঘট সমর্থন করেছে। তবে এই বাস ধর্মঘটের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
বাস যাত্রীরা দাবি করছেন, সরকারি বাস রাস্তায় দেখাই যায়না। রাত্রের দিকে তো সরকারি বাস চলে না বললেই চলে। তাই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে বেসরকারি বাস। রাজ্যে বাস এর পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বর্তমানে রাজ্য সরকারের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ দাবি করেছেন, বাসের মালিকেরা ভোটের সুযোগ নিয়ে এখন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করেছেন। তাদের কথায়,” ডিজেলের দাম বেড়েছে ঠিক, কিন্তু বাসের ভাড়া তো প্রতি ধাপে তিন টাকা, চার টাকা করে কন্ডাক্টর বাড়িয়ে নিয়েছেন লকডাউন এরপর থেকে। তাহলে আবার কেন এই ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বাস মালিকরা দাবি করেছেন, পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর যদি কেন্দ্র এবং রাজ্য একটু ট্যাক্স ছাড় দিত, তাহলে তাদের তেল কিনতে নাভিশ্বাস উঠতো না। বিশ্ববাজারে যত তেলের দাম বাড়বে, ততো বাড়বে এই দুই সরকারের ট্যাক্স। তাই এই নিয়ে তাদের কোনো রকম হেলদোল নেই। এছাড়া যদি ভোট ঘোষণা হয়ে যায় তারপর কোন সরকার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। এই কারণে আগামী ২৯, ৩০, এবং ৩১ জানুয়ারি বাস ধর্মঘটের ডাক দিলো বাস মালিক সংগঠন।