এবার রেল তাদের যাত্রীদের জন্য এক নয়া অভাবনীয় সিদ্ধান্ত নিল। রেল যাত্রার একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এবার পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেনে বাজবে রবীন্দ্র সংগীত। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছেন বেশ। তবে রেলের এই সিদ্ধান্ত শুনে যথেষ্ট খুশি নিত্যযাত্রীরা। তবে এর মধ্যেও রাজনীতির রং দেখতে পেয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির নিজেদেরকে বাঙালি ভক্ত দেখানোর প্রতিষ্ঠা করছে। তাই জন্যই হয়তো এবার রেলের কামরায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যাবে। ইতিমধ্যেই শাসকদল এই বিষয়ে সমালোচনা করেছে। যদিও সমালোচনায় পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি।
এর আগে ক্ষমতায় আসার সময় তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে রবীন্দ্র সংগীত বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবারে ঠিক একই চাল চালছে বিজেপি। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল নেতা অরূপ রায় জানিয়েছেন, “বিজেপি সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নকল করে। তবে মানুষ সবই বুঝতে পারে। সাধারণ মানুষকে ধোকা দেওয়া যাবে না। যা করছে এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম্বার বাড়বে।” এই সবকিছু ভোটের চমক বলেও দাবি করেছেন অরূপ রায়। অন্যদিকে হাওড়া জেলা বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানিয়েছেন, “এই কাজ রেলের কাজ এবং বেশ ভালো কাজ করছে তারা। সবকিছুর মধ্যেই শাসকদল রাজনীতির গন্ধ দেখে।” এছাড়াও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখি প্রকল্পকে নিজেদের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষ সবই বুঝতে পারে।”
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাস থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। তারপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ও বৈঠকের পর গত নভেম্বর মাস থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। বর্তমানে হাওড়া ডিভিশনে ৯০ শতাংশ লোকাল ট্রেন চলছে। এরইমধ্যে রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেনের কামরায় রবীন্দ্রসঙ্গীত চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ৮ টি কামরায় রবীন্দ্র সংগীত বাজানো হবে। লোকাল ট্রেনে বর্তমানে যে প্রত্যেকটি কামড়ায় যে এনাউন্স করার সিস্টেম আছে তাতেই বাজবে গান।