নিউজপলিটিক্সরাজ্য

আবারো একমঞ্চে মোদি মমতা, নেতাজির জন্মদিনে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে

অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি আমরা একই মঞ্চে দেখতে পারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisement

এবার নেতাজি নামে পরিবর্তিত হতে চলেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নাম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন হতে পারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে। আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি কে ১২৫ তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এমন চিন্তা ভাবনা গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Basu) জন্মদিন পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। অন্যদিকে এই দিনটিকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। ফলে নেতাজির জন্মদিন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য প্রতিযোগিতা একেবারে তুঙ্গে।

আর এবারে শুধুমাত্র দিনের নাম পরিবর্তন নয় এবার সরাসরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নাম পরিবর্তন করে দেওয়ার পক্ষে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে নেতাজির জন্ম দিনে এই ঘোষণা করতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজে।কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এই বছরে পা দিয়েছে ১০০ তম বছরে। আর এই বছর নাম বদল করতে পারে ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই স্মৃতিসৌধের। প্রধানমন্ত্রী তরফে নেতাজির জন্মদিন পালন করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। সেই কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন নেতাজির কন্যাকে। আর এই কমিটি এবারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এই স্মৃতিসৌধের নাম পরিবর্তন করা হবে কিনা। যদিও আগামী ২৩ জানুয়ারি তারিখটি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ইতিমধ্যেই এই বাংলা সফরের কর্মসূচি স্থির হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঐদিন দুপুর ৩:৩০ মিনিটে পৌঁছাবেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি তে। সেখানে নেতাজির ওপর অনুষ্ঠিত একটি ন্যাশনাল সেমিনারে ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী গন্তব্য হতে চলেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া পৌঁছাবেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে কথা, তার জন্য প্রস্তুতি থাকবে একদম চরমে। ড্রাম বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রী কে আবাহন জানাবেন রাজস্থান এবং বাংলা শিল্পীরা। তারপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হবে।যদিও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কে। অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি আমরা একই মঞ্চে দেখতে পারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

শেষবারের জন্য মোদি এবং মমতাকে একসাথে দেখা গিয়েছিল আম্ফান বিপর্যয় পরিদর্শনের সময়। তারপর ত্রাণ নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ১০০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়ে পাল্টা বিদেশের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে কিষান সম্মান নিধি যোজনা নিয়ে মোদি এবং মমতা এক প্রস্থ বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন। ২৩ জানুয়ারি নিয়েও হয়েছে জল ঘোলা। নেতাজি জন্মজয়ন্তী কে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল এই ঘোষণা তারা মানতে নারাজ। ২৩ জানুয়ারি তারা পালন করবে দেশনায়ক দিবস হিসেবে। সব মিলিয়ে এই সংঘাতের পরিস্থিতির মাঝখানে মোদি এবং মমতার একসাথে উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Back to top button