গুড় বাতাসা এখন অতীত, এইবারের বিধানসভা ভোটে চকলেট-বিস্কুটের কথা বললেন অনুব্রত 

বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও নিজের মেজাজে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। গুড়, বাতাসা, চড়াম চড়ামের পর আসন্ন ভোতে চকলেট, বিস্কুট, জল দেওয়ার কথা বলতে দেখা গেল বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। নির্বাচনে…

Avatar

বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও নিজের মেজাজে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। গুড়, বাতাসা, চড়াম চড়ামের পর আসন্ন ভোতে চকলেট, বিস্কুট, জল দেওয়ার কথা বলতে দেখা গেল বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। নির্বাচনে ভয়ংকর খেলা হওয়ার আগাম হুঁশিয়ারি দিলেন শাসক শিবিরের নেতা।

রবিবার তথা আজ মহম্মদবাজারের কাইজুলি স্কুলের মাঠে সভা করেন তিনি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mandal) বলেন,”এইবার বিধানসভা নির্বাচনে ভয়ংকর খেলা হবে। যে যে ধরণের খেলা চাইবে, সেই ধরণের খেলাই হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। কেবল বীরভূমে নয়। খেলা হবে গোটা রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের সমস্ত বুথে খেলা হবে। যারা চাইবে তাদের সাথে খেলা হবে। সব জায়গায় চকলেট থাকবে, বিস্কুট রাখা থাকবে, জল থাকবে। কেউ অন্য কিছু চাইলে অন্য কিছু থাকবে। আম্পায়ার হবেন যারা তৃণমূলের হয়ে সেই এলাকায় প্রার্থী হবেন। ক্রিকেট খেলে ১১ জন। কিন্তু থাকে কতজন? ফুটবলে কতজন বাইরে থেকে খেলে জানেন?

এরপরই তিনি বলেন,”রামপুরহাটে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরে রাণা সিং, সাইথিয়ায় নীলবতী সাহা আম্পায়ার থেকবে।” তবে কি দলের তরফে নাম ঘোষণার আগেই তিনি বিধানসভা কেন্দ্রের আগাম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন? অনেকটাই সতর্ক অনুব্রত মণ্ডল। তার বক্তব্য,”এরা তো এলাকার বিধায়ক। আমি আগে থেকে নাম ঘোষণা করতে পারিনা। কে প্রার্থী হবেন, তার নাম ঘোষণা করবে দল।”

নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষের জবাবও আগামী ভোটে বিজেপি পাবে বলেই দাবি করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “বিজেপি কোনও সংস্কৃতি জানে না।” এদিন দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের প্রতিবাদে বাইক মিছিল করে তৃণমূল। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বাইক মিছিল তো নিষিদ্ধ নয়। ভাল জিনিস। যে পারবে সে করবে। ভোট ঘোষণা হলে বাইক মিছিল বন্ধ হবে।”

কিছুদিন আগেই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর ইপাচার্য পরিযায়ী বলে আক্রমণ করেছিলেন। সেই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন অনুব্রত মণ্ডল। জনসভায় তিনি বলেন,”এদের হাতে বাংলা একেবারেই নিরাপদ নয়। একমাত্র সাধারণ ঘরের মেয়ে মমতাই (Mamata Banerjee) পারেন আপনাদের দুঃখ বুঝতে।”