তার সাথে দলবদল করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে খেদিয়ে দেওয়া হল। সুতরাং নতমস্তকে পুরানো পার্টিতে দলেই ফিরে আসতে হয়েছে। কিন্তু ‘দাদা’ কে ছাড়া ‘অনুগামী ভাই’ টিকে থাকতে পারছেন না। তাই এই বার কাতর অনুরোধ করে বসলেন সকলের সামনেই। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। এখানে ‘দাদা’ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ভাই আর কেউ নয়, স্বয়ং জিতেন্দ্র তিওয়ারি(Jitendra Tiwari)। দুইজনের দেখা করার এক মাস অতিক্রান্ত হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে অল্প সরব হলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু শুভেন্দুকে আবারও শাসক শিবির তৃণমূলে ফিরে আসার জন্য কাতর অনুরোধ করেছেন তিনি।
কি ঘটেছে ঠিক? পাণ্ডবেশ্বরের বঙ্কোলা কেলিয়ারি এলাকায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে নিজের ভাষোনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিধায়ক জিতেন্দ্রের দাবি,’অনেকেই জানতে চাইছেন, শুভেন্দু অধিকারী এবং নরেন্দ্র মোদীর মাঝে কি কথা হয়েছে? আমি বলছি শুভেন্দুকে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদ্দী। তাতে মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২৩ জানুয়ারি মোদী বলেছেন, জুট কর্পোরেশনকে এক মাসের মধ্যে লুট কর্পোরেশনে পরিণত করেছে শুভেন্দু।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটকের সাথে আসানসোলের গুরুদ্বারের এক অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি যে দলের সাথেই রয়েছেন, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জিতেন্দ্র। তিনি যে দলের সাথে রয়েছেন, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন। এই বার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হলেন নেতা। তবে জিতেন্দ্রর ঘোষণা, “৭ তারিখ আসানসোলে যে রোড–শো করবেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), তারই পালটা রোড–শো পাণ্ডবেশ্বর করবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি।” শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরব হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পরামর্শও দেন জিতেন্দ্র।