মায়াপুর, যা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গবাসীদের কাছে নয়, সমগ্র ভারতবাসীর কাছে এক ধমীর্য় পর্যটনকেন্দ্র। বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান। প্রতিবছর মায়াপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস অর্থাৎ জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। ওই দিন জন্মাষ্টমীর নীতি এবং ধর্মীয় আচার পালন করা হয়। ওই দিন পবিত্র মায়াপুর নগরীতে ভক্তরা দলে দলে আসে জন্মাষ্টমী পালন করার জন্য। ভোরবেলায় মঙ্গল আরতির মাধ্যমে শুরু হয় দিনের অনুষ্ঠান। সারাদিন ধরে চলতে থাকে শ্রীকৃষ্ণের নাম সংকীর্তন, আরতি ও ভাগবত পাঠ। সমস্ত ভক্তদের প্রসাদ বিতরন করা হয়।
সন্ধ্যা থেকে অভিষেক পর্ব শুরু হয় যা চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। মধ্যরাতের পর মহা আরতীর আয়োজন করা হয়। কারন শ্রীকৃষ্ণ মধ্যরাতে জন্মগ্রহন করেন। আরতির পর শেষ হয় ইষ্কনের জন্মাষ্টমী।
এককথায় বলা যায়, কলকাতায় দুর্গাপূজা যেমন জাঁকজমক ভাবে হয়, তেমনি মায়াপুরে জন্মাষ্টমী জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়, যা এককথায় অনন্য।