নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে দিল্লিতে (Delhi) হিংসার ঘটনায় খালিস্তানীদের দায়ি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রভনীত বিট্টু (Ravneet Singh Bittu)। কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, হিংসার নেপথ্যে রয়েছে, শিখ ফর জাস্টিস সংগঠন। লালকেল্লায় (Red Fort) পতাকা লাগানোর জন্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, যিনি পতাকা লাগাবেন তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে শিখ ফর জাস্টিস। খালিস্তানীরা প্রথম থেকেই এই আন্দোলকে শেষ করতে চাইছিল বলেও অভিযোগ করেন বিট্টু।
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য সরকারকেও দায়ি করেন রভনীত বিট্টু। তিনি বলেন, ‘দীপ সিধু নামে যিনি লালকেল্লায় পতাকা লাগিয়েছেন, তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে, তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। কৃষকদের মিছিলের আগেই বেরিয়ে পড়ে খালিস্তানীরা। তাদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকেই দিল্লিতে লুকিয়ে ছিল। কৃষক নেতারা বয়স্ক, তারা ভদ্র। পাঞ্জাবের কৃষকরা গোটা দেশের পেট ভরান। আজ আমাদের পাঞ্জাবী শহিদ হয়েছেন। আমরা দেশের জন্য লড়াই করে সীমান্তে শহিদ হই। কিন্তু আজ কিছু মানুষ আমাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’
প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে হিংসা ছড়ায় রাজধানীতে। একসময় আন্দোলকারীরা ১৫ আগাস্টে প্রধানমন্ত্রী যেখানে পতাকা উত্তোলন করেন, সেই জায়াগায় নিজেদের ধর্মীয় পতাকা ‘নিশান সাহেব’ লাগিয়ে দেন। ট্রাক্টর মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু এই ঘটনার পর, কৃষক সংগঠনগুলির দাবি হিংসাকারীদর সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে এই ঘটনার জন্য দিল্লি পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন। সংগঠনের নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। কিন্তু এই ঘটনার জন্য দিল্লির পুলিশ প্রশাসনই দায়ি। কারণ, দিল্লি পুলিশ যে রুট দিয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল মিছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যারিকেড না লাগিয়ে মিছিলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। তারই ফলস্পরূপ মিছিল দিল্লির দিকে এগিয়ে যায়। যার জেরে কিছু সংগঠন সুযোগ পেয়ে যায় এবং মিছিলে বিঘ্ন ঘটানোর নক্কারজনক প্রয়াস করে।’