দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য শেষ সময়ে পিছিয়ে গিয়েছে অমিত শাহের (Amit Shah) এর বাংলা সফর। তবে ভোত বাজারে মতুয়া মন যাতে না ভাঙে সেই বিষয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রি অমিত শাহ। তিনি জানিয়ে দিলেন, খুব শীঘ্রই ঠাকুরনগরে যাবেন তিনি। পাশাপশি হাওড়ার ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে মহাযোগদান মেলায় শাহ সশরীরে না থাকলেও থাকতে ভাবেন ভার্চুয়াল ভাবে।
শাহের সভা বাতিলে কথা সামনে আসতেই এই দিন ঠাকুর নগর গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiya), মুকুল রায়রা (Mukul Roy)। অতীতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গড়িমসিকে মনক্ষুন্ন হয়েছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম মুখ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সেই কথা মনে করেই এইবার তৎপরতা নেয় গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, শান্তনুকে অমিত শাহের বার্তা পৌঁছে দিয়ে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আগামী সপ্তাহেই বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূতের খবর, তাদের সাথে ফোনে কথা বলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকি সভা মঞ্চ না ভাঙার পরামর্শও দেওয়া হয়। অমিত শাহ আরও বলেন, তিনি আসার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে গোটা বিষয়তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
২৯ রাতেই শহরে পা দেওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের। ঠাসা কর্মসূচি ছিল তাঁর। গোটা রাজ্য তাকিয়েছিল মতুয়া-সভা থেকে কী বলেন শাহ সেই দিকে। পাশাপাশি ডুমুরজোলার যোগদান মেলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের যোগদানের মঞ্চে হাজির থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সবটাই পণ্ড হয়ে যায় দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে আইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
অন্যদিকে এই সিন শাহ না এলেও এই দিন বিশেষ বিমানে দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষালরা। আজই গেরুয়া পতাকা তারা তুলে নেবেন নিজের হাতে বলে সূত্র হতে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে স্থগিত থাকছে না ৩১ তারিখের ডুমুর জোলার মহাযোগদানও। সেখানে বেশ কিছু যোগদান হবে বলেও জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, ভার্চুয়ালি এই সভায় থাকবেন পারেন শাহ।