শুরু হয়েছে এই দশকের প্রথম বাজেট পেশ, স্বাস্থ্য খাতে জোর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
নয়াদিল্লি: আজ, সোমবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বাজেট কি স্বস্তি দেবে মধ্যবিত্তদের? নাকি জোর দেওয়া হবে করপোরেট খাতে? এই নিয়েই আলোচনা-পর্যালোচনা অনেক হয়েছে। করোনার (Coronavirus) ক্ষততে প্রলেপ দিতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে কোন খাত কতটা স্বস্তি পেতে পারে, তা নিয়ে চর্চায় মজেছিল গোটা দেশ। এবারের বাজেট যে ‘অভূতপূর্ব’ হতে চলেছে, তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাই সকাল থেকেই সকলের নজর রয়েছে মোদি সরকারের (Modi Govt) এই বাজেটের দিকে।
This Budget will be the first of this new decade. Budget 2021 will also be a digital budget: Finance Minister Nirmala Sithraman. #UnionBudget2021 pic.twitter.com/ZqDX5dEbof
— ANI (@ANI) February 1, 2021
মোদি সরকারের তরফ থেকে এটি নবম বাজেট পেশ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারামন তৃতীয়বারের জন্য বাজেট পেশ করছেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এর আগে অরুণ জেটলি সব থেকে বেশি বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি পাঁচবার বাজেট পেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আগের বারের মতো এবারের বাজেট পেশের আগে সকালে পুজো করেছেন। তারপর শুরু হয় বাজেট পেশ। তবে তার আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেই বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে আসেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বাজেট পেশ করার শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘করোনায় বহু মানুষ কর্ম হারা হযেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অতিমারি টিকা আমরা বের করেছি। তা অন্যান্য দেশের রফতানি করাও চলছে। আরও দুটি টিকা শীঘ্রই বের হবে। এরপর সীতারামন বলেন, ৮০ কোটি মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ৪০ কোটি কৃষক ও বয়স্কদের একাউন্টে পাঠানো হয়েছে নগদ। ২৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ আনছে আরবিআই।
একদিকে যখন রাজধানীর বুকে বাজেট পেশ হচ্ছে , ঠিক তখন কৃষক আন্দোলন একইভাবে অব্যাহত। আর কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশের সময় বলেন, ‘কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করার জন্য আমরা দায়বদ্ধ। কীভাবে কৃষকদের সুবিধা দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা সদাসর্বদা জাগ্রত। নতুনদের জন্য অনেক সুযোগ আনা হবে।’ এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ টাকার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ফলে গ্রামে ১৭ হাজার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পুনর্জ্জীবিত হবে। উপকৃত হবে দেশের ৬০২টি জেলা।’