“জয় শ্রীরাম শুনলে এত রেগে যায় কেন পিসি?”, বাংলা সফরে এসে কটাক্ষ নাড্ডার
জেপি নাড্ডা (J P Nadda) বললেন যে বাংলার মানুষ পিসি ভাইপোকে বিদায় করার জন্য হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে আছে
আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল অন্য দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। গেরুয়া শিবির বারংবার তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বাংলা সফরে পাঠাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বাংলা সফরে এসে বিজেপির ভোট প্রস্তুতির সম্বন্ধে খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। আজ আবারো বাংলায় আসছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এর আগেও তিনি বাংলায় এসে ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন।
আজকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জনসংযোগ সারতে মালদহ ও নবদ্বীপে আসছেন। তিনি এবার এসে নবদ্বীপ থেকে পরিবর্তন যাত্রার রথযাত্রা সূচনা করবেন। তিনি নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রা শুরু করার আগে মালদা থেকে দাঁড়িয়ে গোটা কর্মসূচির অভিমুখ নির্ধারণ করে দিলেন। পরিবর্তনের ডাক এর পাশাপাশি এবারের রথযাত্রা যে থিম হচ্ছে জয় শ্রীরাম তা তার কথার মাধ্যমে স্পষ্ট। এছাড়াও আজ তিনি দুপুরে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন। গোটা দেশে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কৃষকদের ক্ষোভ যাতে কোনোভাবেই বাংলা নির্বাচনের প্রভাব ফেলে তার দিকে বরাবর দৃষ্টি দেয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
আজ শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মালদা সাহাপুর এর মাঠে কৃষকদের সাথে সহভোজ করেন। মধ্যাহ্নভোজন সেরেই তিনি মঞ্চ থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি জোর গলায় হুংকার দিয়ে বলেছেন, “এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে। তৃণমূলের চোখের সামনে দিয়ে বাংলায় বিজেপি শাসন শুরু করবে। এই দৃশ্য আর কিছু সময়ের অপেক্ষা শুধু মাত্র।” আজকের মধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সাথে ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরী ও একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গেরুয়া শিবির মন্ত্রী।
এছাড়াও তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনের বিতর্কের কথা তুলে ধরে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, “যেখানে আমি যাচ্ছি সেখানেই জয় শ্রীরাম শুনতে পাচ্ছি। হেলিকপ্টারে করে যখন আসছিলাম এক দিকে হাত নাড়ছে শুধু জয় শ্রীরাম শুনতে পাচ্ছি। মমতাদি জয় শ্রীরাম শুনলে এত রেগে যায় কেন?” এছাড়াও তিনি এদিন পিসি ভাইপোর যুগলবন্দী এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, “চারদিকে শুধু পিসি ভাইপোর হাত জোড় করা কাটাউট। কিন্তু বাংলার মানুষ সব বোঝে। বাংলার মানুষ ওদের হাত জোড় করে বিদায় দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।”